ছবি: প্রতিনিধি
আজ (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে ইলিশ শিকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় টানা ২২ দিন অভিযান চালিয়ে ৮৮৩ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে নামার প্রস্তুতিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা-জাল মেরামত, ট্রলার ঠিক করা এবং সরঞ্জাম প্রস্তুতে কর্মব্যস্ত দিন কাটছে তাদের।
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৩১টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং ১ হাজার ৩৬৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব অভিযানে ৮ হাজার ৮৩৫ কেজি ইলিশ ও ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৯৯ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে। জরিমানা আদায় হয়েছে ৪০ হাজার ৩৩৮ টাকা।
অভিযান চলাকালে উদ্ধারকৃত ৮ হাজার ৪০৫ কেজি ইলিশ এতিমখানা ও দুস্থ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এছাড়া ১ কোটি ৩২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ মিটার কারেন্ট জাল ধ্বংস এবং জব্দকৃত জাল বিক্রি করে ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।
বরিশাল বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জেলে কারাদণ্ড পেয়েছেন হিজলা উপজেলার জেলেরা। হিজলায় গত ২১ দিনে ৪৪৮টি মামলা ও সমান সংখ্যক জেলে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৬ জনকে কারাদণ্ড এবং ১৫২ জনের কাছ থেকে ১২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া ১ কোটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার টাকার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, “ইলিশ রক্ষা অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী একসঙ্গে কাজ করেছে। জেলেরা ভবিষ্যতে যাতে নিষেধাজ্ঞা না ভঙ্গ করে, সে জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রমও পরিচালিত হয়েছে। এই অভিযান জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণের অংশ এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।”
নিষেধাজ্ঞা শেষের সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে জেলেরা এখন জাল ও ট্রলার মেরামতে ব্যস্ত। তারা আশা করছেন, সাগরে নামার পর কাঙ্ক্ষিত ইলিশ এবার সহজেই ধরতে পারবেন।
এসএইচ







































