কুষ্টিয়ায় ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ চলাকালে ছয়জনকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ। একই দিনে জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে পৃথক মামলার চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণেরও শুনানি চলছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে আজ মামলার জবানবন্দি উপস্থাপন করা হবে।
গত ২৫ নভেম্বর প্রসিকিউশন সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের পর ট্রাইব্যুনাল আজকের তারিখ নির্ধারণ করে। সেই বক্তব্যে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম অভিযোগের সারসংক্ষেপ, সাক্ষ্য-প্রমাণ, অডিও-ভিডিও উপাত্ত এবং পত্রপত্রিকার তথ্য তুলে ধরেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ছাড়াও মামলার আসামি হিসেবে আছেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা।
মোট ৩৮ জন সাক্ষীকে এ মামলায় উপস্থাপন করা হবে। তাদের মধ্যে শহীদ পরিবারের সদস্য ৮ জন, প্রত্যক্ষদর্শী ৮ জন, আহত ৮ জন, আন্দোলনকারী ৬ জন, একজন পুলিশ সদস্য, একজন সাংবাদিক, জব্দতালিকার ২ জন সাক্ষী, বিশেষজ্ঞ ২ জন এবং তদন্ত সংশ্লিষ্ট দু’জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবর্ষণের ঘটনায় শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, সুরুজ আলী বাবু, শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মুস্তাকিন, উসামা, ব্যবসায়ী বাবলু ফরাজী ও চাকরিজীবী ইউসুফ শেখ নিহত হন। আহতও হন বহু মানুষ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই চারজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের হয়।
অন্যদিকে, কুষ্টিয়ায় ছয় হত্যাসহ মোট আটটি অভিযোগে হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। আজও তার মামলার জবানবন্দি গ্রহণের কার্যক্রম ট্রাইব্যুনালে চলবে।







































