• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

অবসরে গিয়েও অফিস ছাড়ছেন না দুজন, লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ‘অদ্ভুত’ চিত্র


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি  অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
অবসরে গিয়েও অফিস ছাড়ছেন না দুজন, লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ‘অদ্ভুত’ চিত্র

ফাইল ছবি

অবসরের প্রায় নয় বছর পেরিয়ে গেলেও নিয়মিত অফিস করছেন লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দুই সাবেক কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ও জাহিদুল হক। একজনের অবসর হয়েছে ৮ বছর ৯ মাস আগে, অন্যজনের ২ বছর ১০ মাস। অথচ দুজনই এখনো কার্যালয়ের টেবিল-চেয়ার ব্যবহার করছেন, পরিচালনা করছেন দাপ্তরিক কাজ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তারা প্রতিদিনের মতোই সিভিল সার্জন কার্যালয়ে উপস্থিত। স্থানীয়দের প্রশ্ন—“অবসরের এত বছর পরও তারা অফিসে কীসের টানে আসেন?” অনেকে মজার ছলে বলছেন, “সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিশ্চয়ই কোনো মধু আছে!”

এদিকে, সদর হাসপাতালে দায়িত্ব থাকার কথা থাকলেও আয়া রুনা আক্তার টানা ১১ বছর ধরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কর্মরত। তিনি এখন অফিসে ষ্টেনোগ্রাফারের কাজ করছেন। অথচ ১০০ শয্যার সদর হাসপাতালে ৫০ শয্যার জনবলও নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হারুন অর রশিদ ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি এবং জাহিদুল হক ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর অবসরে (পিআরএল) যান। এরপরও তারা প্রতিদিন অফিসে গিয়ে আগের মতো দায়িত্ব পালন করছেন।

অভিযোগ রয়েছে, নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা তাদের কারণে যোগদান করতে পারছেন না। বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিভিল সার্জনদের ‘ম্যানেজ’ করে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছেন তারা।

রুনা আক্তার বলেন, ‘আমি ২০১০ সালে যোগদান করেছি। ১১ বছর ধরে এখানে কাজ করছি। নতুন কোনো স্টেনোগ্রাফার নিয়োগ হয়নি। তাই সিভিল সার্জনের অনুষ্ঠান ও পুলিশ কেস রিপোর্টের কাজগুলো আমি করি।’

সাবেক প্রধান সহকারী জাহিদুল হক বলেন, ‘আমি কোনো বেতন-ভাতা নিই না। শুধু সহায়তা করার জন্যই অফিসে যাই।’

অন্যদিকে হারুন অর রশিদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) লক্ষ্মীপুর জেলা সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, ‘সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে। এই সিন্ডিকেট লুটপাট আর অরাজকতার সঙ্গে জড়িত। অবসরে যাওয়া কর্মকর্তারা কীভাবে অফিস করেন, সেটি তদন্ত হওয়া উচিত।’

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবু হাসান শাহীন বলেন, ‘অফিসে জনবল ঘাটতি রয়েছে। তাই অবসরে থাকা দুজন কর্মকর্তাকে পরামর্শমূলকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। তারা সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন না। সদর হাসপাতালের জনবলও কম থাকায় রুনা আক্তারকে এখানেই রাখা হয়েছে।’

এসএইচ

Wordbridge School
Link copied!