ছবি: প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা: দুর্নীতির উৎস হলো এক ধরনের রাজনীতিকের হাতে থাকা ক্ষমতা। তাদের হাতেই লালিত হয় দুর্নীতিবাজদের অনেকে। এ মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, বিগত সরকারের পতনের অন্যতম কারণ ছিল দুর্নীতি। এজন্য সচেতন থাকতে হবে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে চুয়াডাঙ্গার ডিসি সাহিত্য মঞ্চে দুদকের গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন বলেন, নির্বাচনের আগে মনোনয়ন বাণিজ্যসহ অবৈধ টাকার লেনদেন বেড়ে যায়। তাই এখনই সতর্ক থাকতে হবে এবং সঠিক লোককে নির্বাচিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, তার পরিবারের সদস্যরা এবং সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুর্নীতির মামলায় অনেক আসামী দেশীয় সীমান্তের বাইরে রয়েছেন। তারা কীভাবে সীমান্ত পার হয়েছে, তা সকলেরই জানা। এমনও হতে পারে তারা চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়েই পাড়ি দিয়েছে।
গণশুনানিতে চুয়াডাঙ্গার ২৬টি দপ্তরের বিরুদ্ধে ৯৫টি অভিযোগ শুনানি হয়। এর মধ্যে ৩৩টি অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি হয়, ৭টি খারিজ করা হয় এবং বাকি অভিযোগের সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক জালাল আহমেদ এবং চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) জামাল আল নাসের।
এসএইচ







































