ছবি: প্রতিনিধি
নীলফামারীতে আগাম জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপির বাজারদর ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এই আগাম কপি এখন যাচ্ছে ঢাকা, রাজশাহী, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়। এরই মধ্যে কৃষকদের ক্ষেত থেকে প্রতিদিন ট্রাকে করে কপি সংগ্রহ করছেন ব্যবসায়ী ও পাইকাররা।
সদর উপজেলার লাক্ষীচাপ, চাপড়া, সোনারায়, পঞ্চপুকুর, টুপামারী এবং সংগলশী ইউনিয়নে এ বছর আগাম জাতের কপির চাষ বেশি হয়েছে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকেই এসব কপি বাজারজাত করা শুরু করেন কৃষকেরা। মৌসুমের শুরুতে ফুলকপি প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, আর বাঁধাকপি ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় ভালো আয় হয়েছে।
লাক্ষীচাপ ইউনিয়নের কৃষক মনোরঞ্জন রায় জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৩০ শতাংশ জমিতে আগাম ফুলকপি চাষ করেছেন। বীজ, সেচ ও সার মিলিয়ে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। মাত্র ৭০ দিনে সেই কপি তুলেই ৮০ টাকা কেজিতে ৩০ হাজার টাকার বেশি বিক্রি করেছেন। সামনে আরও ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার কপি বিক্রির আশা করছেন তিনি।
বেলতলী গ্রামের কৃষক রতন বলেন, লাভের আশায় আগাম জাতের কপি চাষ করেন তাঁরা। এ বছর অসময়ের বৃষ্টিতে কিছু ক্ষতি হলেও ভালো দামের কারণে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
নীলফামারী বড়বাজারের ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন জানান, আগাম কপি সরাসরি কৃষকের ক্ষেত থেকে কিনে ঢাকা ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মঞ্জুর রহমান বলেন, নীলফামারীতে প্রতি বছরের মতো এবারও আগাম জাতের কপির চাষ ব্যাপক হয়েছে। বাজারে ভালো চাহিদা ও দাম থাকায় কৃষকেরা লাভবান হয়েছেন। জেলার প্রয়োজন মিটিয়ে নীলফামারীর কপি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও সরবরাহ করা হচ্ছে।
এসএইচ







































