• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

তৈরি পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ১২:০২ পিএম
তৈরি পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে

ফাইল ছবি

ঢাকা: ২০২৫ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে ৩৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০২৫ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার।

২০২৫ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়ে ইইউতে পোশাক আমদানি ১৭ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়ে ১৬ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।

ইইউতে পোশাক আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং গড় ইউনিট মূল্যে ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এই ইতিবাচক রপ্তানি প্রবণতার পেছনে বেশ কিছু বিষয় ভূমিকা রেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে- ইইউর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার, নিরাপত্তা মান মেনে চলা এবং নির্মাতা ও শ্রমিকদের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা।

এসব উন্নয়ন ক্রেতাদের আস্থা বাড়িয়েছে এবং বাংলাদেশের রপ্তানি বাজারে অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।

ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে, ২০২৫ সালের পুরো বছর জুড়ে কাজের অর্ডার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।

বিশ্বব্যাপী উত্তেজনা (বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে) বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ক্রেতারা বাংলাদেশে তাদের সোর্সিং কার্যক্রম বাড়াচ্ছেন, ফলে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তুলনামূলকভাবে, চীন, ভারত, পাকিস্তান এবং কম্বোডিয়া ২০২৫ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে উল্লেখযোগ্য রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

চীনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানি ২০২৪ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির ৩.৬৩ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ৪.৫৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে, ইউরোপে তুরস্কের পোশাক রপ্তানি ৩.৬৪ শতাংশ কমে ১.৬১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, আর ভিয়েতনাম ১৬.৫৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ৭৫৯ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

ভারত, পাকিস্তান এবং কম্বোডিয়া ইউরোপীয় বাজার থেকে যথাক্রমে ৮৬৫ মিলিয়ন, ৭১১ মিলিয়ন এবং ৭৭৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

এ প্রসঙ্গে কথা বলার সময়, ব্র্যান্ড বিজিএমইএ-র সাবেক পরিচালক এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহিউদ্দিন রুবেল বলেন, উপস্থাপিত তথ্য ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে কৌশলগত অভিযোজনের প্রয়োজনীয়তার দিক নির্দেশ করে।

মুহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘বাংলাদেশের রপ্তানিতে পরিমাণ ও মূল্যের দিক থেকে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বৈশ্বিক মূল্য হ্রাসের প্রবণতার মধ্যে দেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান টিকিয়ে রাখা এবং লাভের মার্জিন বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।’

রুবেল আরও বলেন, মূল্য সংযোজন এবং বাজার সম্প্রসারণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থায়িত্ব ও সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

এসআই

Wordbridge School
Link copied!