ঢাকা : বিগত সরকারের সময় দেশের এফবিসিসিআইসহ ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোকে রাজনৈতিক প্রভাবে একঘরোয়া করে রেখেছিল। আমরা আশা করছি পরবর্তীতে কোন সরকার এই ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোকে দলীয়করণ করবে না।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের আয়োজনে সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিকেএমইএ'র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমাদের দেশে ট্রেডিং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোতে যাতে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি যাতে নেতৃত্বে আসতে না পারে সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। ব্যবসায়িক নেতা তাদের করা হোক যারা খাতের জন্য যোগ্য, তাদেরকেই নেতৃত্বস্থানে আনা দরকার।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, আমাদের সব প্রাইভেট সেক্টর নিয়ে সরকারের একটি কমিটি থাকা জরুরি। সরকারের সাথে বসে আমাদের প্রাইভেট সেক্টরকে কিভাবে পাংসন করা যায় তা আলোচনা করা উচিত।
তিনি বলেন, সরকার যেন প্রাইভেট সেক্টরকে ভাবেন। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। নতুবা আমাদের উন্নয়ন করা যাবে না।
পলিসি একচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মকসরুর রিয়াজ বলেন, বাণিজ্য যুদ্ধে বাংলাদেশের করণী নিয়ে অবস্থা। এটা বিশ্বের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমাদের টেকনোলজি ব্যবহারে বিশ্ব রাজনীতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাম্প ট্যারিফের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির গ্রোথ কমবে ০. ৬ শতাংশে নেমে আসবে। বিশ্ব অর্থনীতিতে পাল্লা দিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক জিনিসগুলো নিয়ে চিন্তা করা জরুরি। বাণিজ্য যুদ্ধ শব্দটা আমরা ব্যবহার করছি। কিন্তু এটা নতুন করে বিশ্ব যুদ্ধ তৈরি করছে। চীনে হয়ে যাওয়া বৈঠক একটা গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।
তিনি বলেন, আমাদের ভাবতে হবে নতুন প্রবৃদ্ধি চালক হতে হবে। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে যারা সম্পৃক্ত আছে তারা ভাবতে হবে নতুন প্রবৃদ্ধিতে আমাদের বিভিন্ন খাতকে কিভাবে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
এএইচ/পিএস







































