ফাইল ছবি
এশিয়া ও ইউরোপের শেয়ারবাজারে উত্থান বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এর প্রভাবে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ কিছুটা কমে গেছে। ধীরে ধীরে কমেছে দামও। আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক ও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশের আগে বাজার অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করায় স্বর্ণবাজারে এই ধীর গতি দেখা যাচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১১টা ৪১ মিনিট জিএমটি পর্যন্ত স্পট গোল্ডের দাম ০.২ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ১৯৯ দশমিক শূন্য ৬ ডলারে নেমে আসে। যুক্তরাষ্ট্রে ফেব্রুয়ারি ডেলিভারির স্বর্ণ ফিউচারও ০.১ শতাংশ কমে দাঁড়ায় আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ২২৯ ডলারে।
বাজারবিশ্লেষকদের মতে, শুক্রবার প্রকাশিত হতে যাওয়া পিসিই মূল্যস্ফীতি সূচকের আগেই ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন। শেয়ারবাজারে ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা বাড়ায় স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী গতি সীমিত হয়েছে।
এদিকে রুপার বাজারেও বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। রুপার দাম ১.৭ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৫৭ দশমিক ৫ ডলারে নেমে এসেছে। এর আগের দিনই দাম ছুঁয়েছিল ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৫৮ দশমিক ৯৮ ডলার।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত রুপার দাম বেড়েছে ১০১ শতাংশ। বাজারে তারল্য সরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে প্রবাহিত হওয়া, রুপাকে যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি খনিজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহ ঘাটতির শঙ্কা-এসব কারণে রুপার বাজারে অস্বাভাবিক উত্থান অব্যাহত ছিল। এবার প্রথমবারের মতো বড় সংশোধনের মুখে পড়ল দাম।
এসএইচ







































