ঢাকা : আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট হারিকেন মিল্টন আরও শক্তি সঞ্চার করে ক্যাটাগরি পাঁচ মাত্রার বিপজ্জনক ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতের মধ্যে মেক্সিকো উপসাগর হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়টি।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টাররের তথ্য মতে, ক্যাটাগরি পাঁচ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় মিল্টন বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৬৫ মাইল বা ২৭০ কিলোমিটার নিয়ে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের দিকে ধেয়ে আসছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৫ ইঞ্চি (৩৮ সেমি) পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতার ঢেউ দেখা যেতে পারে। খবর বিবিসি।
মারাত্মক ও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস ও উঁচু ঢেউ নিয়ে উপকূল ভাগে আছড়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ ট্যাম্পা বে অঞ্চল মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যার শংকা করা হচ্ছে। এই এলাকায় ৩০ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করে। তাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।
তাই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এলাকা ছাড়ছেন মার্কিন এই রাজ্যের লাখ লাখ বাসিন্দা। এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষ ফ্লোরিডা ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক যানজট ও পেট্রল পাম্পগুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র জ্বালানি সংকট।
মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) ভয়াবহ এই হারিকেন থেকে নিরাপদে থাকতে ফ্লোরিডার মানুষজনকে তাদের বাড়িঘর ছাড়ার আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই ঘূর্ণিঝড়কে তিনি ‘জীবন ও মৃত্যুর বিষয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া ঝড়টি ফ্লোরিডার শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ হতে পারে বলেও জানান তিনি।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই আরেকটি বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় হেলেনের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল ফ্লোরিডা রাজ্য। সেই ঝড়ের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ২৩০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন শত শত মানুষ। সেই ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগেই আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিল্টন।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :