• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খেজুর রস সংগ্রহে আগাম ব্যস্ত গাছিরা


মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি নভেম্বর ২৭, ২০২০, ০৬:০৩ পিএম
খেজুর রস সংগ্রহে আগাম ব্যস্ত গাছিরা

মানিকগঞ্জ : কুয়াশা আর ঠান্ডা হিমেল হাওয়ায় বইছে শীতের আমেজ। বছরজুড়ে খেজুর গাছগুলো অযত্ন আর অবহেলায় পরে থাকলেও শীতকালে গাছের চাহিদা ও যত্ন বেড়ে যায়। রস সংগ্রহের জন্য গাছিরা ইতোমধ্যেই থেকেই গাছের অপ্রয়োজনীয় ডালপালা ঝেরে ফেলার পরে গাছের বুক চিড়ে সাদা ছাল বের করার কাজ করছেন।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর, ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, রস সংগ্রহের জন্য খেজুর গাছগুলোকে প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। শীত এলেই খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরির ধুম পড়ে যায় এসব গ্রামগুলোতে। খেজুরের রস দিয়ে তৈরি দেশের বিখ্যাত হাজারী গুড়ও তৈরি হয় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরেই।

হরিরামপুর উপজেলার শিকদারপাড়া গ্রামের গাছি তেক্কা মিয়া জানান, প্রায় ৩০ বছর যাবত খেজুর গাছ খোলা ও গুড় তৈরির কাজ করেন। মূলত এটা তাদের পৈতৃক পেশা। এবার ৩০টা খেজুর গাছ নিয়ে গুড় তৈরির কাজ করবেন তিনি। বর্তমানে খেজুর গাছের সংখ্যা দিন দিন কমে যাওয়ায় রস, গুড় ও পাটালি গুড়ের দাম বেশি।

এ বছর প্রায় ২৫টি খেজুর গাছ রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত করছেন উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের আনোয়ার মিয়া। তিনি জানান, আগামী সপ্তাহ থেকেই খেজুর রস সংগ্রহের কাজ শুরু হবে। এ সময় চোরের উপদ্রব বেড়ে যায়। যার জন্য রাত জেগে পাহারা দিতে হয় গাছগুলোকে।

আনোয়ার আরো জানান, যারা খেজুর রসের পাগল তারা শহর থেকে গ্রামে ছুটে আসেন। কাঁচা রস প্রতি ভাঁড় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। রস জাল দেওয়ার পর গুড় তৈরি করে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি খাটি গুড় ৪৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, প্রতি কেজি হাজারী গুড় এক হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।

হরিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল গফফার জানান, সারাদেশে পরিকল্পিতভাবে খেজুর গাছ রোপণ করা দরকার। তাহলে শীত মৌসুমে উপাদেয় রস দেশীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারবে। খেজুরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে দেশি চারার পাশাপাশি বিদেশি চারাও রোপণ করা প্রয়োজন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!