• ঢাকা
  • শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

দেড় মাসেই কমতে শুরু করে ফাইজার ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার অ্যান্টিবডি


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ২৮, ২০২১, ০৪:১৯ পিএম
দেড় মাসেই কমতে শুরু করে ফাইজার ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার অ্যান্টিবডি

ছবি (প্রতীকী)

ঢাকা : করোনার ভ্যাকসিন ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার কার্যকারিতা নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন একদল গবেষক। এ দুটি ভ্যাকসিনে শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি দেড় মাস বা ছয় সপ্তাহের মধ্যে কমতে শুরু করে। ৫০ শতাংশেরও বশি অ্যান্টিবডি কমে যায় মাত্র ১০ সপ্তাহের ভেতর। এ তথ্য উঠে এসছে ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্যে। 

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউসিএল) গবেষকরা জানান, অ্যান্টিবডির স্তর এই হারে কমে যাওয়া উদ্বেগজনক। এর ফলে ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকরি প্রভাব হ্রাসের আশঙ্কা করছেন তারা। বিশেষ করে করোনার নতুন ধরনগুলোতে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হতে পারে এসব ভ্যাকসিন। তবে কত দ্রুত এসব ভ্যাকসিন তাদের কার্যকরি সক্ষমতা হারাবে তা এখনো নিশ্চিত করেননি গবেষকরা।

ইউসিএল ভাইরাস ওয়াচ শীর্ষক এই গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের তুলনায় ফাইজারের ভ্যাকসিনে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। পাশাপাশি সার্স-কোভ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আগেই যারা টিকা নিয়েছেন তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি বেশি তৈরি হয় বলে নিশ্চিত করেছেন গবেষকরা।

ইউসিএল ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইনফরমেটিকসের গবেষক মধুমিতা শরোত্রি বলেন, প্রথম দিকে যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের শরীরে অনেক বেশি পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছিল। এ কারণেই করোনার গুরুতর প্রভাব থেকে সুরক্ষা দিতে ভ্যাকসিন দুটি অত্যন্ত কার্যকরী বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। তবে দুই-তিন মাসের মধ্যেই এসব ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডি লক্ষণীয় মাত্রায় কমে যাওয়ার তথ্য মিলেছে গবেষণায়।

১৮ বা তার চেয়ে বেশি বয়সের ৬০০ জনের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়েছে। এতে দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত ও বিভিন্ন লিঙ্গের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

গবেষকরা বলেছেন, অ্যান্টিবডির স্তর কমে যাওয়ার বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি কমে যাওয়া স্বাভাবিক। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, করোনার গুরুতর প্রভাব রোধে এসব ভ্যাকসিন এখনো কার্যকর।

তারা বলেছেন, ফাইজারের ভ্যাকসিনের দুই ডোজ সম্পন্ন করার ২১-৪১ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবডির মাত্রা প্রতি মিলিলিটারে ৭ হাজার ৫০৬ ইউনিট হ্রাস পায় আর ৭০ বা তারও বেশি দিনের মধ্যে সেই হার কমে ৩ হাজার ৩২০ ইউনিটে নেমে যায়। এছাড়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ সম্পন্ন করার ২০ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবডির স্তর প্রতি মিলিলিটারে এক হাজার ২০১ ইউনিট এবং ৭০ বা তারও বেশি দিনের মধ্যে প্রতি মিলিলিটারে ১৯০ ইউনিট পর্যন্ত হ্রাস পায়। ফাইজারের তুলনায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার অ্যান্টিবডি হ্রাসের হার প্রায় পাঁচগুণ বেশি।

সূত্র: এনডিটিভি।

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!