• ঢাকা
  • রবিবার, ১৬ জুন, ২০২৪, ২ আষাঢ় ১৪৩১
মরক্কো ভূমিকম্প

ধ্বংসস্তূপে পরিণত গোটা গ্রাম, বেশিরভাগই নিখোঁজ বা মৃত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩, ০২:৩৫ পিএম
ধ্বংসস্তূপে পরিণত গোটা গ্রাম, বেশিরভাগই নিখোঁজ বা মৃত

ঢাকা : গেলো শুক্রবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গেছে মরক্কোর পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্বতমালার গ্রামগুলো। তেমনই মরক্কোর অ্যাটলাস পর্বতমালার একটি গ্রাম তাফেঘাঘতে।

বার্তাসংস্থা বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, গ্রামের ২০০ জন বাসিন্দার মধ্যে ৯০ জনের মৃত্যুর খবর সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরও অনেকেই এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

ভূমিকম্পের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘গ্রামটির বাসিন্দারা হয় হাসপাতালে, নয়তো মৃত।’

বিবিসির সাথে কথা বলেন হাসান নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা, তাঁর চাচা এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন বলে জানান তিনি। এখন আর তার চাচাকে বের করতে পারার মতো কোনো আশা দেখছেন না হাসান।

হাসান বলেন, তাঁর চাচাকে বের করার মতো যেসব জিনিসপত্র প্রয়োজন, সেগুলো এই গ্রামে নেই। বাইরে থেকে কোনো বিশেষজ্ঞ বা উদ্ধারকারী এখনও সেখানে পৌঁছায়নি।

হাসান আরও বলেন, যে মরক্কোর কর্তৃপক্ষের উচিৎ এখন সব ধরণের আন্তর্জাতিক সহায়তা গ্রহণ করা। কিন্তু নিজেদের অহংকারের কারণে হয়তো সরকার সেই সহায়তা নেবে না বলে সন্দেহ পোষণ করেন হাসান।

তাফেগাঘতের আরেকটি অংশে ভয়াবহ ভূমিকম্পের শিকার আবদু রহমান। এই ভূমিকম্পে তিনি তাঁর স্ত্রী এবং তিন ছেলেকে হারিয়েছেন। কয়েকজন মিলে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

সামনে থাকা ধ্বংসস্তূপের দিকে দেখিয়ে আবদু রহমান বলেন, ‘ওখানে আমাদের বাড়ি ছিল। আপনি ওখানে সাদা কম্বল আর আসবাবও দেখতে পাবেন। এখন সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে।’

আবদু রহমান জানান, ভূমিকম্প আঘাত হানার পর যে তিনি যে পেট্রোল স্টেশনে কাজ করেছিলেন সেখান থেকে ৩ কিমি (১.৯ মাইল) দৌড়ে বাড়ি এসেছিলেন তিনি।

ধ্বংসস্তূপের নিচে আমরা তাদের সবাইকে একসঙ্গে জড়িয়ে থাকা অবস্থায় পেয়েছি বলে জানান আবদু রহমান। তাদেরকে কবর দেয়া হয়েছে।

এদিকে আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার গভীর রাতে মরক্কোর এটলাস পর্বত অঞ্চলে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১২২ জনে।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!