ঢাকা: ভারি খাবার খাওয়ার পরই পেট ভার ও বুকে ব্যথা হয় অনেকেরই। অম্বলের ধাত থাকলে এমন হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি মানেই যে তা গ্যাস কিংবা অম্বলের কারণ, তেমনটি নাও হতে পারে। হয়তো তলে তলে বাসা বেঁধেছে হার্টের রোগ— আপনি বুঝতেই পারছেন না।
যাদের অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা আছে— কিছু খেলেই গলা-বুক জ্বালা করে, বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের এ ভুলটা বেশি হয়। গ্যাসের ব্যথা না হার্টের সমস্যা, তা বুঝতে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়।
ব্যাপারটা যেহেতু হার্টের, তাই আগে থেকে সতর্ক হতে হবে। বুকে ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে— এমনটিই জানিয়েছেন হার্টের চিকিৎসক দিলীপ কুমার। তিনি বলেন, হার্ট অ্যাটাক বা হার্টের সমস্যার কারণে ব্যথা নিজে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। শুধু কিছু লক্ষণ দেখে সতর্ক হওয়া যেতে পারে।
হার্টের সমস্যা হলে বুকের মাঝখানে চাপ চাপ ব্যথা হবে। মনে হবে বুকের ওপর ভারি পাথর চাপানো হয়েছে। ব্যথাটা ধীরে ধীরে চোয়াল, ঘাড় কিংবা পিঠের দিকে যেতে পারে। একে বলে ‘অ্যানজাইনাল পেন’। ২০ থেকে ২৫ মিনিট এই ব্যথা থাকবে। সঙ্গে প্রচণ্ড ঘাম হবে। শ্বাসকষ্ট হতে পারে। মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসবে। এ রকম উপসর্গ হলে বুঝতে হবে— ব্যাপারটা হার্ট অ্যাটাকের দিকে গড়াচ্ছে।
আর বয়স যদি চল্লিশের বেশি হয় এবং দেখেন, যখন-তখন নাড়ির গতি বাড়ছে। হালকা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, গ্যাসের ওষুধ খেয়েও বুকে ব্যথার উপশম হচ্ছে না। ব্যথা মাঝে মধ্যেই ফিরে আসছে, তাহলেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
*আপনার যা করা উচিত-
হার্টের রোগ যাদের আগে থেকেই আছে, তাদের সাবধানতা মেনে চলতেই হবে। আর যাদের আগে থেকে হার্টের কোনো সমস্যা নেই, অথচ এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তাদের দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যদি বুকে ব্যথা ও সেই সঙ্গে ঘাম হতে শুরু করে, তাহলে সেই মুহূর্তে চারটে ডিসপ্রিন ট্যাবলেট পানিতে গুলে বা চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে হবে। এতে হার্ট অ্যাটাক থেকে মৃত্যুর আশঙ্কা অন্তত ৪০ শতাংশ কমে যাবে।
ডায়াবেটিস রোগীরা ‘অ্যানজাইনাল পেন’ বুঝতে পারেন না। ব্যথাটাকে গ্যাসের ব্যথার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া কোনো গতি নেই।
ইউআর







































