• ঢাকা
  • সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

মাসুদ কামালের প্রশ্ন

মুক্তিযোদ্ধার গলা চেপে ধরার দৃশ্য স্বাধীন দেশে দেখতে হবে?


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২৯, ২০২৫, ০১:২০ পিএম
মুক্তিযোদ্ধার গলা চেপে ধরার দৃশ্য স্বাধীন দেশে দেখতে হবে?

ঢাকা: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, একজন বয়স্ক মুক্তিযোদ্ধার গলা চেপে ধরেছে একটা ইয়াং ছেলে; স্বাধীন দেশে এই দৃশ্য আমাদের দেখতে হবে? ওরা জুলাই যোদ্ধা? ওরা জুলাই আন্দোলনকারী? তিনি বলেন, এর পরেও যদি সরকার ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে এই সরকারের ব্যাপারে আমাদের হতাশা বাড়বে। সম্প্রতি একটি ইউটিউব ভিডিওতে তিনি একথা বলেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মঞ্চ ৭১ এর একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে বাধা দেয় ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয় দেওয়া একদল ব্যক্তি। এ সময় তারা সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানসহ (কার্জন) বেশ কয়েকজনকে অবরুদ্ধ ও হেনস্তা করে। পরে পুলিশ এসে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।  

এ বিষয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওতে মাসুদ কামাল বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর আরেকটি পরিচয় আছে। তিনি একসময় আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলী সদস্য ছিলেন এবং মন্ত্রী ছিলেন। পরে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় এবং অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, তাকে জেলে পর্যন্ত যেতে হয়। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে সরে যান এবং একসময় ঘোষণা দিয়ে রাজনীতি থেকে সরে আসেন। 

মাসুদ কামাল বলেন, যেহেতু মুক্তিযোদ্ধাদের মিটিং, তাই উনি সেখানে ছিলেন। সেখানে কিছু লোক স্লোগান দেয়— এটা আওয়ামী লীগের দোসরদের মিটিং হচ্ছে, স্বৈরাচারের দোসরদের মিটিং হচ্ছে। সেখানে যেটা হয়েছে আমার বিবেচনায় এটা মব ছাড়া আর কিছু না।
 
তিনি বলেন, এ ঘটনার পর সেখানে পুলিশ এসে মব সৃষ্টিকারীদের নয়, যারা মবের শিকার তাদের আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। পরে সেখান থেকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার সর্বশেষ খবর আমার কাছে আসেনি। কিন্তু এই লোকগুলোর অপরাধ কী? বলা হচ্ছে এখানে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু এখানে আওয়ামী লীগের কে ছিল তা বুঝতে পারলাম না। 

তিনি আরো বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ আমলে এমন দৃশ্য দেখেছি। জামায়াতের ৪-৫ জন লোক হয়তো কোনো একটা রেস্টুরেন্টে বসে চা খাচ্ছে, তাদের ধরে নিয়ে আসা হতো। বলা হতো তারা সরকারবিরোধী কাজ করছে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে; এগুলো বলে তাদের গ্রেপ্তার করা হতো। যদি সেটারই পুনরাবৃত্তি করেন, তবে তাদের সঙ্গে আপনার পার্থক্য কী থাকলো? 

ইউআর

Wordbridge School
Link copied!