• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নিম্নবিত্তের চাহিদা মেটাতে পারছে না


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ৮, ২০২১, ০২:১৬ পিএম
নিম্নবিত্তের চাহিদা মেটাতে পারছে না

ঢাকা : করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর চরম ঊর্ধ্বগতির সময়ে দেশে কঠোর লকডাউন চলছে। এ সময়টিতে নির্দিষ্ট সময় জরুরি পণ্য কিনতে পারছেন ভোক্তারা। এর মাঝে ভরসার স্থল ছিল সরকারি বিপণন প্রতিষ্ঠান টিসিবির পণ্য।

টিসিবির পণ্য বিক্রেতা ও আগত ক্রেতাদের কথায় জানা গেছে, মানুষের চাহিদার তুলনায় টিসিবির পণ্য কম সরবরাহ করা হচ্ছে। তাছাড়া টিসিবির পণ্যের ট্রাক দুপুরের আগে আসছে না। কিন্তু অসংখ্য নারী ও পুরুষ সকাল থেকেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজেও অপেক্ষার প্রহর যেন তাদের ফুরায় না। রাজধানীর আজমপুরে টিসিবির ট্রাকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন কামরাঙ্গীরচরের মোখলেস মিয়া। উদ্বিগ্ন হয়ে বার বার সামনে লম্বা লাইনের দিকে তাকাচ্ছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব মোখলেস। তিনি বলেন, ‘যে লম্বা সিরিয়াল! মাল পাই কি না খোদাই জানেন।’

নিউমার্কেটে টিসিবির পণ্য বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাদের প্রতিদিন মাত্র ২০০ জনের পণ্য দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু কমপক্ষে তিনগুণ অর্থাৎ ৬০০ জনের চাহিদা রয়েছে। ফলে যারা সিরিয়ালে আগে থাকেন তাদেরই তারা পণ্য দিয়ে থাকেন। এসব ট্রাক থেকে ক্রেতারা চিনি কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা (একজন সর্বোচ্চ চার কেজি), প্রতি কেজি মসুর ডাল ৫৫ টাকা (সর্বোচ্চ দুই কেজি ) এবং সয়াবিন তেল ১০০ টাকা লিটারে (দুই থেকে সর্বোচ্চ ৫ লিটার) কিনতে পারছেন।

রাজধানীর একাধিক স্থানে টিসিবির পণ্য কিনতে আসা মানুষজনকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। তাদের মধ্যে ছিল না নির্দিষ্ট দূরত্ব। ক্রেতাদের অনেকেই বলেন, টিসিবির পণ্য কিনতে এসে কাছাকাছি দাঁড়িয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আরো বেশি ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

করোনাভাইরাস মহামারি ও সারা দেশে চলমান লকডাউনে ভোক্তাদের অপেক্ষাকৃত কম দামে পণ্য দিতে ৫ জুলাই থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়। আগামী ২৯ জুলাই (ঈদুল আজহার ছুটি ব্যতিত) পর্যন্ত পণ্য বিক্রি প্রতিদিন চলবে।

টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, মহানগরসহ সারা দেশে টিসিবির ৪৫০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৮০টি ও চট্টগ্রাম সিটিতে ২০টি ট্রাক রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি মহানগর ও জেলা শহরেও ট্রাকসেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।

বর্তমানে টিসিবির প্রতিটি ট্রাকে দৈনিক ৬০০-৮০০ কেজি চিনি, ৩০০-৬০০ কেজি মসুর ডাল এবং ৮০০-১২০০ লিটার সয়াবিন তেল বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!