• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জীবিতের চেয়েও অধিক জীবিত তুমি


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১১, ২০২১, ১২:১৩ পিএম
জীবিতের চেয়েও অধিক জীবিত তুমি

ঢাকা : আজীবন লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পূর্ব বাংলার মানুষকে স্বাধীনতা এনে দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সদ্য স্বাধীন দেশকে তিনি যখন আত্মনির্ভরশীল দেশ হিসাবে বিশ্ব দরবারে দাঁড় করানোর সংগ্রামে নিয়োজিত ঠিক তখনই শুরু হয় গভীর ষড়যন্ত্র।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে ষড়যন্ত্রকারীরা দেশের অগ্রগতি থামিয়ে দেয়। দেশকে করে সাম্রাজ্যবাদ নির্ভর। সেই শোকাবহ আগস্টের একাদশতম দিন আজ। ১৯৭৫ সালের ১১ আগস্ট ছিল সোমবার।

বঙ্গবন্ধু সশরীরে বাঙালির মাঝে নেই। কিন্তু তিনি যে আদর্শ ও চেতনাকে রেখে গেছেন তাকে ধারণ করেই বাঙালি এগিয়ে যাচ্ছে সোনালি ভবিষ্যতের দিকে।

কবির ভাষায়- ‘আমরা সন্ধ্যায়, হারিয়ে যাওয়া ছায়ারই মতো হয়ে যাচ্ছিলাম,/আমাদের দিনগুলি ঢেকে যাচ্ছিল শোকের পোশাকে,/তোমার বিচ্ছেদের সংকটের দিনে/আমরা নিজেদের ধ্বংসস্তূপে বসে বিলাপে ক্রন্দনে/ আকাশকে ব্যথিত করে তুললাম ক্রমাগত; তুমি সেই বিলাপকে/রূপান্তরিত করেছো জীবনের স্তুতিগানে, কেননা জেনেছি-/ জীবিতের চেয়েও অধিক জীবিত তুমি।’

পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে বিশ্ব দরবারে যিনি বাঙালিদের একটি বীরের জাতি হিসাবে পরিচিত করালেন, মাত্র ৪ বছরের মধ্যে দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মাধ্যমে ঘাতকেরা সেই মানুষটিকে সপরিবারে হত্যা করে। বাঙালি জাতিকে পরিয়ে দেয় কলংকের তিলক।

ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, হত্যার বিচার যাতে না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। যা বিশ্ব দরবারে বাঙালি জাতিকে আরেকবার হেয়প্রতিপন্ন করে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ৩৫ বছর জাতি হিসাবে আমরা যে কলংকের বোঝা বহন করেছি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের মাধ্যমে সেই বোঝা কিছুটা হলেও হালকা করেছেন। খুনিদের অনেকেই যারা এখনও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার ব্যবস্থা করতে হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!