সাড়ে ৩২ হাজার পিস বৈদ্যুতিক খুঁটি কিনছে সরকার

ঢাকা: সাড়ে ৩২ হাজার পিস বৈদুত্যিক খুঁটি বা পোল কিনছে সরকার। এটি কেনা হবে খুলনা বিভাগের বিদ্যুত সরবরাহ করার জন্য। এজন্য ব্যয় হবে ৩১ কোটি ৩৫ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) ‘বাপবিপো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও ক্ষমতা বর্ধন (খুলনা বিভাগ)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এসব পোল কেনা হবে।

এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, বাপবিবো’র ‘বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন’ প্রকল্পের  এর আওতায় ৩২ হাজার ৪০০ টি এসপিসি পোল কেনার প্রস্তাব গত ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো হয়। বাংলাদেশ সরকার, এডিবি ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ৩০৭৬ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার প্রকল্পটি ২০২১ সালের ৪ মে তারিখে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাল ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

জানা গেছে, প্রকল্পের ডিপিপি-তে প্যাকেজ নং- এমসিইপি/বিআরইবি/কেডি-জি-২১ এর আওতায় ৯৭ হাজার ১৯৬টি এসপিসি পোল কেনার উল্লেখ রয়েছে। এসপিসি পোলের পাপ্যতা ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বিবেচনায় বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় (এপিপি) প্যাকেজটিকে ৩টি লটে (লট-১, লট-২ ও লট-৩) ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। লট-২ ও লট-৩ এর ক্রয় প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। লট-১ এর ৩২,৪০০টি এসপিসি পোলের দাম এপিপি অনুযায়ী ৮৮কোটি ১৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা এবং দাপ্তরিক প্রাক্কলন ৬৫কোটি ৮০ লাখ ১৬ হাজার ৯৭৮ টাকা ধরা আছে।

প্রকল্পের ডিপিপিতে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বৈদ্যুতিক সরঞ্জমাদি কেনার খাতে মোট ২৬১ কোটি ১৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে এবং ২০২১-২০২২ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দকৃত অর্থ পুন:উপযোজনের  মাধ্যমে প্রকল্পে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ওই বরাদ্দ থেকে এসপিসি পোলগুলো কেনা হবে।

এ সংক্রান্ত এক সার-সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে, লট-১ এর আওতায় এসপিসি পোল কেনার জন্য বাপবিবো কর্তৃক এডিবি’র ওপেন কমপিটিটিভ বিডিং পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। দরপত্র মূল্যায়নের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে ২০২১ সালের ২৭ জুলাই তারিখের মধ্যে লট-১ এ ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে এবং দরপ্রস্তাবগুলো একই তারিখে দরদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে খোলা হয়।

দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) আলোচ্য লটের আওতায় পাওয়া দরপত্রগুলো মূল্যায়ন করে প্রতিবেদন পেশ করে। দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্যাসেল কন্সট্রাকশন কো. লিমিটেড যৌথভাবে পোলস অ্যান্ড কনক্রিট লিমিটড এবং টিএসসিও পাওয়ার লিমিটেড ৩১ কোটি ৩৫ লাখ ৫৯ হাজার ৩৮৮ টাকা দর উল্লেখ করে সর্বনিন্ম দরদাতা নির্বাচিত হয়। দরপত্রে অংশ নেয়া কনটেক কন্সট্রাকশন লিমিটেড ৩৪ কোটি ৩১ লাখ ২৫ হাজার ৬৫৭ উল্লেখ করে দ্বিতীয়, কনফিডেন্স ইনফ্রাক্ট্রাকচার লিমিটেড ৩৪ কোটি ৭২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭৪ টাকা উল্লেখ করে তৃতীয় এবং বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি ৪০ কোটি ৮৪ লাখ ৫৭ হাজার ৫৮৪ টাকা উল্লেখ করে চতুর্থ নিম্ন দরদাতা হয়।

দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) দরপত্র দলিলের আইটিবি-৩৭.৪ এর ভিত্তিতে পারফরম্যান্স সিকিউরিটি এর পরিমান চুক্তিমূল্যের ২০ শতাংশ নির্ধারণসহ সর্বনিম্ন রেসপন্সিভ দরদাতা ক্যাসেল কন্সট্রাকশন কোং.লিমিটেড যৌথভাবে পোলস অ্যান্ড কনক্রিট লিমিটড এবং টিএসসিও পাওয়ার লিমিটেড এর সঙ্গে চুক্তি করার জন্য প্রকল্পে অর্থায়নকারী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অনাপত্তি জানিয়েছে বলে জানা গেছে। 

সোনালীনিউজ/আইএ