• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
মাঠ প্রশাসনে কর্মবিরতি

কর্মচারীদের পদবি পরিবর্তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি


নিউজ ডেস্ক মার্চ ৭, ২০২২, ০২:৪৭ পিএম
কর্মচারীদের পদবি পরিবর্তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি

ঢাকা : পদবি বদল ও বেতন গ্রেড উন্নীতকরণের দাবিতে মাঠ প্রশাসনে কর্মবিরতি চলছে গত মঙ্গলবার থেকে।সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি বাদ দিয়ে আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।তবে এরই মধ্যে দাবি পূরণের সুখবর পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা।

জানা গেছে- বিভাগ, জেলা-উপজেলা ও ভূমি অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদবি পরিবর্তন হচ্ছে। তবে বেতন স্কেল একীভূত করা কিংবা সমন্বয় করা আপাতত সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, এটা করা হলে নতুন জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা অভিমত দিয়েছেন।

আরও পড়ুন : নতুন পে-স্কেল অথবা মহার্ঘভাতার সুখবর শিগগিরই

এবিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, সরকার কর্মচারীদের দাবি যৌক্তিক পর্যায়ে বিবেচনা করে দ্রুত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি মনে করেন, কর্মচারীদের উচিত হবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কর্মে নিযুক্ত হওয়া। শিগ্গিরই যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

জানা যায়, কর্মচারীদের দাবি অনুযায়ী তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে ১৩তম বেতন স্কেলধারীদের পদবি পরিবর্তন করে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ১৪তমদের উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং ১৫তম বেতন স্কেলধারীদের পদবি উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। তবে ১৪ ও ১৫তম বেতন স্কেলধারীদের সবাইকে ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি পূরণ সম্ভব নয় বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন : মাঠ প্রশাসনে কর্মবিরতি, দ্রুত বেতন গ্রেড উন্নীতকরণের আশ্বাস প্রতিমন্ত্রীর

সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, ১৪ ও ১৫তম গ্রেডকে ১৩তম গ্রেড দেওয়া হলে বাড়তি অর্থের প্রয়োজন হবে। তাছাড়া এখন যারা ১৩তম গ্রেডে আছেন তাদের বেতন আর বর্তমান যারা পদোন্নতি পাবেন তাদের বেতন প্রায় সমান হয়ে যাবে। ফলে এখানে নতুন করে বৈষম্য তৈরি হবে। তাছাড়া নতুন করে যারা ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ পাবেন তারা নিয়োগ পেয়েই যে বেতন ভাতা পাবেন, দাবির প্রেক্ষিতে বেতন স্কেল উন্নীতকারীরা সমান বেতন পাবেন। তখন প্রশ্ন উঠবে কেউ নতুন যোগ দিয়েই যে বেতন পাচ্ছেন অন্যরা ১৫-২০ বছর চাকরি করে সেই বেতন পাচ্ছেন, এটা হতে পারে না। এ কারণে তহশীলদারদের বেতন স্কেল পরিবর্তন করে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ফলে তা স্থগিত রাখা হয়েছে। সরকার জটিলতা এড়িয়ে সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে চায় বলেই আপাতত পদবি পরিবর্তনের দাবি পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছে।

আরও পড়ুন : প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ-বদলি নতুনভাবে প্রস্তুতি শুরু

জানা যায়, গত শনিবার কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বৈঠকে নেতারা পদবি পরিবর্তন করার দাবি মেনে কর্মবিরতি স্থগিত রাখার কথা বললেও পরে বিভাগীয় কর্মচারীদের বৈঠকে নেতারা সে কথা রাখতে পারেননি। ফলে কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১ মার্চ) থেকে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি ও ইউএনও অফিসে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে আছেন।সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতিত ১ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে। মাঝখানে ৭ মার্চ ১৭ মার্চ ও ২৬ মার্চ-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ঐতিহাসিক ভাষণ (৭ মার্চ), জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস (১৭ মার্চ) এবং মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের (২৬ মার্চ) প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উক্ত দিবস সমূহে কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। কর্মচারীরা সকাল ৯টায় হাজিরা খাতায় সই করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ না করে অফিস চত্বরে অবস্থান করবেন। সূত্র-ইত্তেফাক

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!