• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
এমভি আবদুল্লাহ

জিম্মি নাবিকদের কণ্ঠ শুনলেন স্বজনরা


চট্টগ্রাম ব্যুরো মার্চ ২৩, ২০২৪, ১০:০৮ এএম
জিম্মি নাবিকদের কণ্ঠ শুনলেন স্বজনরা

চট্টগ্রাম : সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) নাবিকদেরকে স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে দেয় জলদস্যুরা।

জাহাজের চিফ অফিসার আতিক উল্লাহ খানের ছোটভাই আসিফ খান বলেন, ভাইয়া ফোন করেছিলেন। ভাবির মোবাইলে ফোন করে মা ও আমার সঙ্গে কথা বলেছেন।

জাহাজে থাকা জলদস্যুরা সব নাবিককে তাদের পরিবারের সদস্যদের ফোন করতে দিয়েছে বলে ভাইয়া আমাদের বলেছে।

আতিক কী বলেছেন, এই প্রশ্নে তার ভাই বলেন, জাহাজে পানির সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে। দিনে এক ঘণ্টা পানি ব্যবহার করতে দেয় তাদের।

সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড উপকূলের কাছে এমভি আবদুল্লাহ নোঙর করে রাখা আছে। জাহাজটির অদূরে একটি বিদেশি যুদ্ধ জাহাজ টহল দেওয়ায় দিনের বেশিরভাগ সময় নাবিকদের ব্রিজে নিয়ে রাখে বলে আতিক জানিয়েছেন।

জলদস্যুদের সঙ্গে নাবিকদের কোনো দ্বন্দ্ব হয়নি উল্লেখ করে আসিফ খান বলেন, ভাইয়ার অ্যালার্জির সমস্যা হলেও তিনি সুস্থ আছেন। অন্য নাবিকরাও সুস্থ আছেন।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নাবিকদের বলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এমভি আবদুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপের মিডিয়ার দায়িত্বে থাকা মিজানুল ইসলামও। তাদের সঙ্গে নতুন করে কোনো যোগাযোগ হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হলেও এখনও পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। দস্যুদের তরফ থেকে এখনো মুক্তিপণ দাবি করা হয়নি।

তবে কবির গ্রুপের অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, নাবিকদের মুক্তি ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে জাহাজের ক্যাপ্টেন ও চিফ অফিসার যোগাযোগ করেছেন।

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের একটি বন্দরে কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরের কাছে এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালি জলদস্যুরা। জিম্মি হয় জাহাজের ২৩ নাবিক ও ক্রু।

কয়েকবার স্থান পরিবর্তনের পর জাহাজটিকে পান্টল্যান্ডের এর কাছের উপকূলে জাহাজটিকে নোঙর করা আছে।

জিম্মি হওয়ার আগে পরে বিভিন্ন মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বিভিন্ন পরিস্থিতি তুলে ধরেছিলেন। পনে সে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

বুধবার তৃতীয় একটি পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুদের সঙ্গে কবির গ্রুপের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ শুরু হয়। তবে তারা কোনো মুক্তিপণ চায়নি বলে গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!