ঢাকা : ঢাকার গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে চারদিন আগে গোলাপি রঙের যে বাস চালু করা হয়েছিল, সেই কাউন্টার পদ্ধতির যাত্রী পরিষেবা হোঁচট খেল শুরুতেই।
কেবল কাউন্টার থেকে যাত্রী তোলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সায়দাবাদ এলাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন একদল বাস শ্রমিক। দুপুর ১২টার পর থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত জনপদ মোড় অবরোধ করে রাখেন তারা। এতে সায়দাবাদ ও আশপাশের এলাকায় প্রচণ্ড যানজট সৃষ্টি হয়।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, বলাকা ও তুরাগ পরিবহনের শ্রমিকরা কাউন্টার পদ্ধতিতে বাস চালাতে অসহযোগিতা করছে।
তারা বলছে, তাদের বেতন কম। কাউন্টারে চালালে এলোমেলো করতে পারে না। যেখানে-সেখানে যাত্রী তুললে টাকা বেশি পায় তারা। এই কারণে তারা কাউন্টারে চালাবে না, কাউন্টারে চালালে তাদের (বেতনের) টাকা বেশি দিতে হবে।
খোকন বলেন, আন্দোলনকারীরা দাবি করছে, পুলিশের হাতে তারা হয়রানির শিকার হয়। ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন বাতিলেরও দাবি জানায় তারা। এসব কারণে তারা সড়ক অবরোধ করেছিল।
বাস মালিকদের নেতা খোকন বিকাল পৌনে ৪টার দিকে বলেন, সড়ক অবরোধের পর তারা শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
কিছুক্ষণ আগে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটমাট করে এসেছি। এরপর যান চলাচল শুরু হয়েছে।
ঢাকার আব্দুল্লাহপুর হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে গাজীপুরের যেসব বাস চলে, সেগুলোর কাউন্টার পদ্ধতির পরিষেবা শুরু হয় গেল বৃহস্পতিবার।
গোলাপি রঙের এসব বাসের সংখ্যা দুই হাজার ৬১০। এতোদিন ২১টি কোম্পানির অধীনে চলা এসব বাসে শৃঙ্খলা আনতে চালু করা হয় ই-টিকেট।
এ পরিষেবা উদ্বোধন করে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছিলেন, ঢাকার ভঙ্গুর ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার প্রথম পদক্ষেপ এটি। পর্যায়ক্রমে সবগুলো রুটে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।
ঢাকা বিমানবন্দরে কোনো বিদেশি নাগরিক নামলেই আমাদের বিশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থা চোখে দেখে। একটি বাস আরেক বাসকে গরু-মহিষের মতো গুতাগুতি করে। এগুলো নিয়ে ট্রল হয়।
এমটিআই







































