• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

শিশুটির দাফন সম্পন্ন, আসামিদের বাড়িতে ক্ষুব্ধ জনতার আগুন


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১৩, ২০২৫, ১০:০৪ পিএম
শিশুটির দাফন সম্পন্ন, আসামিদের বাড়িতে ক্ষুব্ধ জনতার আগুন

ঢাকা : মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এশার নামাজের পর জানাজা শেষে গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়। 

এর আগে শিশুটির মরদেহ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে হেলিকপ্টারে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। মরদেহ মাগুরা পৌঁছানোর পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা হয়। এতে অংশ নেয় হাজারো মানুষ। পরে মরদেহ গ্রামে নেওয়া হয়। 

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানায়, জানাজার নামাজ শেষ হওয়ার পরপরই আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেয় লোকজন। রাত সোয়া ৮টার সময় এই প্রতিবেদন তৈরি পর্যন্ত ওই বাড়িতে আগুন জ্বলছিল। কাউকে সেখানে আগুন নেভাতে দেখা যায়নি। 

কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আট বছর বয়সী শিশুটি। হাসপাতালের শিশুরোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) চিকিৎসা চলছিল তার। বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারবার ও বৃহস্পতিবার আরও দু‘বার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় শিশুটির।

পরিবারের অভিযোগ, শিশুটি গত ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে পরদিন বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল।

এই ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে চারজনের নামে মামলা করেন। অভিযুক্তরা হলেন, শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব (১৮), সজীবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) ও মা জাবেদা বেগম (৪০)। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!