ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় পুরো জাতি এখন শোকে স্তব্ধ। যে যেখানে আছেন হতাহতদের জন্য প্রার্থনা করছেন। আর যারা পারছেন সরাসরি এসে কোনো না কোনোভাবে সহায়তার চেষ্টা করছেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া আহতদের রক্ত দানে দ্রুত সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন বহু মানুষ। এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় বৈমানিকসহ ১৯ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য ইতোমধ্যে বিমান বাহিনীর একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই আহতদের জীবন বাঁচাতে রক্তদানের জন্য জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মানুষের ঢল নেমেছে। অসংখ্য মানুষ স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে ছুটে এসেছেন, যা দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
দগ্ধদের মধ্যে অন্তত ৫০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের জীবন বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজন মেটাতে হাসপাতাল চত্বরে ভিড় করেছেন কয়েকশ মানুষ। তবে পজিটিভ রক্তের পর্যাপ্ত সংখ্যক ডোনার থাকলেও নেগেটিভ গ্রুপগুলোর রক্তের সংকট রয়েছে।
বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, দগ্ধ রোগীদের অনেকের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে। তাদের চিকিৎসায় জরুরি ভিত্তিতে প্রচুর রক্তের প্রয়োজন। এই খবরে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন মানুষ। হাসপাতালের গেটের বাইরে রক্তদাতাদের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। অনেকে আবার একসঙ্গে কয়েকজনকে নিয়ে এসেছেন।
আইএ







































