ফাইল ছবি
ঢাকা: ২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে দেশের ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। এই তালিকায় সব দলকে ছাড়িয়ে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এক যুগ পর নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পর দলটি এবার অর্থনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয়তা দেখিয়েছে।
ইসিতে জমা দেওয়া অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, জামায়াতের মোট আয় হয়েছে ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা এবং ব্যয় ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা।
জামায়াতের আয় এসেছে বিভিন্ন উৎস থেকে–কর্মী ও সদস্যদের অনুদান ১৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের অনুদান ৩৭ লাখ টাকা, ব্যক্তি ও সংস্থার অনুদান ১১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, দলের পত্রিকা-বই বিক্রি ৯ লাখ টাকা এবং অন্যান্য অনুদান ৭ লাখ টাকা।
ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে কর্মীদের বেতন-ভাতা ও বোনাস ৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, প্রশাসনিক ও আবাসিক খরচ ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, ইউটিলিটি বিল ২ লাখ টাকা, ডাক-টেলিফোন-ইন্টারনেট খরচ ৮ লাখ টাকা, আপ্যায়ন খরচ ১০ লাখ টাকা, প্রচারণা ও পরিবহন ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এছাড়া যাতায়াত, জনসভা ও ঘরোয়া বৈঠক, প্রার্থীদের অনুদান, ধর্মীয় বিশেষ অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মোট ব্যয় হয়েছে ২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
অন্যদিকে বিএনপির আয় ১৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং ব্যয় ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ব্যাংকে দলের উদ্বৃত্ত অর্থ ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা রয়েছে। আয়ের উৎসের মধ্যে রয়েছে জাতীয় নির্বাহী কমিটির চাঁদা, বইপুস্তক বিক্রি, ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের অনুদান এবং ব্যাংক সুদ। ব্যয়ের খাতে ছিল আর্থিক অনুদান, ত্রাণ বিতরণ, পোস্টার-লিফলেট ছাপানো, সভার হল ভাড়া, দপ্তরীয় খরচ এবং ইফতার মাহফিল।
বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫১টি, তবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় ৫০টি দলকে হিসাব জমা দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৯টি দল সময়মতো প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, ১০টি সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে এবং ১১টি দল প্রতিবেদন জমা দেয়নি। আইন অনুযায়ী, পরপর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব না দিলে দলের নিবন্ধন বাতিল হবে।
এক যুগ পর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া জামায়াত ২০২৪ সালে আয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে সব দলকে ছাড়িয়ে গেছে। রাজনৈতিক মঞ্চে এই অর্থনৈতিক চিত্র নতুন চাঞ্চল্য সৃষ্টি করছে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় দলগুলোর অবস্থানকে নতুনভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।
এসআই







































