ফাইল ছবি
ঢাকা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেছে বিএনপি। দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়েছে, সহযোগী রাজনৈতিক দলগুলোকে এবার সর্বোচ্চ ৪০টি আসন ছাড়া হতে পারে। এর বাইরে আসন দেওয়ার পরিকল্পনা নেই।
বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, গণতন্ত্র মঞ্চ ১৩৮টি, ১২ দলীয় জোট ২১টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ৯টি, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ১৩টি, জাতীয় পার্টি ৫টি, গণফোরাম ১৫টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ৬টি ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ১০টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা জমা দিয়েছে।
বিএনপি জানিয়েছে, আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাকেই প্রধান মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হবে। দলটি বিভিন্ন জরিপ ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে মিত্রদের প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই করছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে শরিকদের ৫৮ আসন দেওয়া হয়েছিল, তবে এবার জামায়াতের সঙ্গে কোনো জোটে না যাওয়ার কারণে নতুন শরিক দলের মধ্যে থেকেই আসন বণ্টন হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘মিত্রদের আসন দেওয়া হবে সেসব এলাকায়, যেখানে জয়লাভের বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে।’
সূত্র জানায়, সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার (পিরোজপুর–১), এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম (লক্ষ্মীপুর–১), বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা (কিশোরগঞ্জ–৫), নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না (বগুড়া–২), গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৬), এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ (ঢাকা–১৩), বিএনপি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ (ঢাকা–১৭), এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ (কুমিল্লা–৭), এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ (নড়াইল–২) এদের মধ্যে কয়েকজনকে ইতিমধ্যে গণসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে বিএনপি এনসিপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করছে। দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, মিত্রদের আসন ছাড় সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চলতি মাসের মধ্যে জানানো হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থিতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
এসএইচ







































