• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘মাছ-মাংস খাইছি কবে মনে নাই’


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ৯, ২০২২, ০৭:৫৩ পিএম
‘মাছ-মাংস খাইছি কবে মনে নাই’

ঢাকা: আমরা রাস্তায় কাজ করি, রাস্তায় খাই। বেতনের টাকা পেলে ঘর ভাড়া দিয়ে যে টাকা বাড়তি থাকে তাতে এক বেলা খাবার খেলে দুই বেলা না খেয়ে থাকতে হয়। সরকার সব কিছুর দাম বাড়িয়েছে কিন্তু আমাদের বেতন বাড়ায় নাই। 

যে টাকা বেতন পাই তা দিয়ে ঘর ভাড়া দিমু না খামু? কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকার পরিচ্ছন্নতাকর্মী মিনারা বেগম (৬৯)।

অশ্রুজলে তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় এক বেলা মাংস দিয়া ভাত খাইছিলাম। এরপর আর মাছ-মাংস চোখে দেখি নাই। মাইডারে এক বেলা যে ভালো তরকারি দিয়ে খাওন দিমু সেই কপাল আমার নাই। আমগর মতো গরিব মাইনসের মাসে একবারও মাছ-মাংস দিয়া ভাত খাওয়া হয় না। মাছ-মাংস যে খাইছি কবে মনে নাই। আমরা রাস্তায় কামলা দিয়া খাই।’

মিনারার মত আরও কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাজারে জ্বালানি তেল থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম বেড়েছে। আমরা যারা নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের কথা সরকার একটিবারও ভাবে নাই। রাস্তায় পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করি। এতে মাসে ৭ হাজার টাকা বেতন পাই। তা দিয়ে ঘর ভাড়া, ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়ার খরচ, চিকিৎসার খরচ সব চালাতে হয়। এছাড়া বাজারে ঢুকলে আমরা অসহায় হয়ে পড়ি। আমাদের কথা ভাবার মত কী দেশে কোনো মানুষ নাই?’

মিনারাদের মত এরকম হাজারো মিনারা জীবিকা নির্বাহের তাগিদে রাস্তাঘাটে কাজ করতে দেখা যায়। তাদের গল্প সমাজের অন্য আট-দশজন নারীর মত নয়। এদের মধ্যে কারো স্বামী মারা গেছেন, কারো স্বামী অসুস্থ অথবা কারো স্বামী ফেলে চলে গেছেন। সরকারের কাছে তাদের একটাই অনুরোধ খেটে খাওয়া এসব মানুষের দিকে যাতে একটু সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন। অন্ততপক্ষে তিন বেলা যাতে খেয়ে-পড়ে থাকতে পারে সেই অধিকার চান তারা।

সোনালীনিউজ/এমএস/এআর

Wordbridge School
Link copied!