• ঢাকা
  • শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

হোয়াইটওয়াশের পথে বাংলাদেশ


ক্রীড়া ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১, ০৪:১৮ পিএম
হোয়াইটওয়াশের পথে বাংলাদেশ

সংগৃহীত

ঢাকা : জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে ২৩০ রানের টার্গেট সেট করেছে উইন্ডিজ। এর আগে সকাল থেকে লিড বাড়ানোর লক্ষ্যে দ্রুত ব্যাটিং করে একেরপর এক উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই দিক থেকে তাদের চেপে ধরে টাইগার বোলাররা। শেষ পর্যন্ত চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৭ রানে অলআউট হয়েছে যায় সফরকারীরা। 

বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল দ্রুত উইকেটগুলো তুলে নেয়া। এই দুই লক্ষ্য সামনে রেখেই ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে মাঠে নেমেছে উভয় দল। 

এদিকে ২৩১ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিলো টাইগারদের। কিন্তু ৫৯ রানে আউট হন সৌম্য। ১৩ রান করে ফেরা সৌম্য বিদায় নিলেও হাফসেঞ্চুরি করেন তামিম। কিন্তু ৫০ করে বিদায় তিনি। এরপর ১১ রানে শান্তু ও ১৪ রানে মুশফিকের বিদায়ে চরম বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ দল। 

এরপর বাংলাদেশকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে ফিরে গেলেন মিথন। ১০ রান ফিরেন তিনি। এরপর মুমিনুল হক ২৬ রানের বিদায়ের চরম বিপাকে পরে বাংলাদেশ।
বিপর্যয়ে উঠার আগেই ২২ রানে ফিরে যান লিটন দাস। 

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৩ রান। 

এর আগে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নেমেই পেসার আবু জায়েদ রাহীর জোড়া আঘাতে ও তাইজুলের হানায় তিনটি ব্রেক থ্রু পেলো বাংলাদেশ। যাতে লাঞ্চের আগেই ৭৩ রানেই ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে ফেলে ক্যারিবীয়রা।

লাঞ্চের পর হুড়মুড়ি পড়ে সফরকারীদের উইকেট। বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ইসলাম ৪টি, নাঈম হাসান ৩টি, আবু জায়েদ রাহী ২টি এবং ১টি উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।  

দিনের পঞ্চম ওভারেই দলকে উইকেট উপহার দেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান জোমেল ওয়ারিকান। তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেট হারিয়ে ৪১ রান। এনক্রুমাহ বোনার ৮ এবং জোমেল ওয়ারিকান ছিলেন ২ রানে। আগের ২ রানের পর নামের পাশ আর কোনও রানই যোগ করতে পারেননি তিনি।

এর পর দলিয় ৬২ রানে ক্যারিবীয় শিবিরে আবারও আঘাত হানেন রাহী। এবার তার শিকার হন প্রথম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বাংলাদেশকে পরাজয়ের স্বাদ দেয়া কাইল মায়ার্স। লেগ বিফোর হয়ে ফেরেন মাত্র ৬ রান করে। রাহী অবশ্য মায়ার্সের উইকেটটি আগেই পেতে পারতেন। ব্যাটকে চুম্বন করে যাওয়া সেবারের বলটি লিটনের গ্লাভসে জমা পড়লেও আম্পায়ার সাড়া না দেয়ায় আর রিভিউ না নেয়ায় যে যাত্রায় বেঁচে যান বাঁহাতি মায়ার্স।

এরপরেই দৃশ্যপটে আসেন তাইজুল। লিটনের নৈপুণ্যে ব্লাকউডকে (৯) কঠিন স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার বানিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি স্পিনার। যাতে ৭৩ রানেই ষষ্ঠ উইকেট হারায় উইন্ডিজ। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৮ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান করেছে স্বাগতিকরা। ফলে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত লিড দাঁড়িয়েছে ২১১ রানের। 

এর আগে প্রথম ইনিংসে ১১৩ রানের লিড পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে ম্যাচ জিততে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদেরকে অল্পে অলআউট করা একপ্রকার বাধ্যতামূলক বলা চলে বাংলাদেশের জন্য। সে লক্ষ্যে তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে ৪০ রানের আগেই ৩ উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা, ক্যারিবীয়দের চাপে রেখেই শেষ করে দিনের খেলা।

সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখলো চতুর্থ দিন সকালেও। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা জোমেল ওয়ারিকানকে সাজঘরে পাঠিয়ে দিনের শুরুটা ইতিবাচকভাবেই করল বাংলাদেশ। পরে আরও দুটি উইকেট তুলে নিল টাইগাররা।

ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় ইনিংসে নতুন বলটা দলের একমাত্র পেসার রাহীর হাতে দেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মোমিনুল হক। মূলত তৃতীয় দিনে হওয়া ২১ ওভারের মধ্যে এক ওভারও পাননি রাহী। আজ রাহীকে দিয়েই বোলিংয়ের শুরুটা করেছে বাংলাদেশ। সফলতা মিলতেও খুব একটা দেরি হয়নি।

দিনের পঞ্চম ও রাহীর করা তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন ওয়ারিকান। খালি চোখেই দেখা যাচ্ছিল পরিষ্কার আউট এটি। যে কারণে রিভিউ নেয়নি ক্যারিবীয়রা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় সংগ্রহ তখন ৪ উইকেটে ৫০ রান। সে ওভারেই তারা হারাতে পারত পঞ্চম উইকেটও।

চতুর্থ উইকেট পতনের পর উইকেটে আসেন আগের ম্যাচের নায়ক কাইল মায়ার্স। প্রথম বলেই চার মেরে শুরু করেন তিনি। সেই ওভারের শেষ বলটি বেরিয়ে যাচ্ছিল অফস্ট্যাম্প দিয়ে। ব্যাট এগিয়ে দিয়েও সরিয়ে নেন মায়ারস, বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে।

বাংলাদেশ দল আবেদন করলেও আউট দেননি আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, সেই বলটি লিটনের গ্লাভসে যাওয়ার পথে মায়ারসের ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে গেছে। অর্থাৎ রিভিউ নিলে সে উইকেটটি পেতে পারত বাংলাদেশ, সাজঘরের পথ ধরতে হতো মায়ারসকে। সিদ্ধান্থীনতায় তা আর হয়নি।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!