• ঢাকা
  • শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্যই ক্রিকেটার হয়েছিলেন তামিম


ক্রীড়া প্রতিবেদক জুলাই ৬, ২০২৩, ০২:৫৮ পিএম
বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্যই ক্রিকেটার হয়েছিলেন তামিম

ঢাকা : অনেকদিন ধরেই তামিম ইকবালের ফিটনেস নিয়ে হচ্ছিল সমালোচনা। গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের আগে তিনি ভুগতেন চোটে। ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বলে, তাকে নেতৃত্ব ছাড়ার পরামর্শ দিচ্ছিলেন কেউ কেউ। অনেকেই আবার তার অবসর কামনা করছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাদের প্রত্যাশাই পূরণ হলো। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের আর তিন মাস বাকি। চলছে আফগানিস্তান সিরিজ। আর এমন সময় সব সংস্করণের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন টাইগার দলপতি তামিম ইকবাল।

ঘোষণাটা এসেছে আচমকাই। কৌতুহলটা জাগিয়েছিলেন কাল রাতেই। খেলা শেষে গভীর রাতে সাংবাদিকদের জানান সংবাদ সম্মেলনের কথা। দুপুর ১২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটা শুরু হয়েছে ১টার পর। আর তা ছিল সিরিজ কাভার করতে যাওয়া ও স্থানীয় সাংবাদিকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।

চট্টগ্রামের স্থানীয় একটি হলে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে নিজের বক্তব্যে বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকালের ম্যাচটিই আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। এই মুহূর্ত থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছি। সিদ্ধান্তটি হুট করে নেওয়া নয়। অনেকদিন ধরেই আমি এটা নিয়ে ভাবছি। পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছি এটা নিয়ে।’

তারপরই স্মরণ করেন নিজের বাবাকে। তবে বলার আগে চোখের জল আটকাতে পারেননি। কান্নাজড়ানো কণ্ঠে বলেন, ‘আমি সবসময় বলেছি, ক্রিকেটটা আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। আমি জানি না, তাঁকে কতটুকু গর্বিত করতে পেরেছি। সেটার জন্য ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়েছি।’

কান্না জড়ানো কণ্ঠেই তিনি স্মরণ করেন ছোট চাচা প্রয়াত আকবর খানকে, শৈশবের ক্রিকেট কোচকে। বলেন, ‘আমার ক্রিকেট জীবনে এমন অনেক মানুষ জড়িয়ে আছেন যাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার ছোটো চাচা আকবর খান, যিনি কিছুদিন আগে মারা গেছেন। উনার হাত ধরেই আমার প্রথম কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্টে খেলা। উনাকে আর উনার পরিবারকে ধন্যবাদ। তপন দা নামে একজন কোচ আছেন, যার কাছে আমি ছোটোবেলা থেকে ক্রিকেট শিখেছি। তাকেও ধন্যবাদ।’

তারপর কান্না আবার যেন জড়িয়ে ধরে তাকে। মাথা নিচু করে চোখের জল ঝরিয়েছেন। ধন্যবাদ জানিয়েছে বয়স পর্যায়ের সেই সব সতীর্থদের যারা তার এই পথচলার স্বাক্ষী।

বলেছেন, ‘ক্যারিয়ারের এই দীর্ঘ পথচলায় আমার সব সতীর্থ, সব কোচ, বিসিবির কর্মকর্তাগণ, আমার পরিবার ও যাঁরা আমার পাশে ছিলেন, নানাভাবে সহায়তা করেছেন, ভরসা রেখেছেন এবং আমার ভক্ত-সমর্থক, বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনুসারী, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের সবার অবদান ও ভালোবাসায় আমি চেষ্টা করেছি সব সময় দেশের জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে দিতে।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!