• ঢাকা
  • শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

জ্যাকসের সেঞ্চুরি, মঈনের হ্যাটট্রিকে কুমিল্লার বড় জয়


ক্রীড়া ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম
জ্যাকসের সেঞ্চুরি, মঈনের হ্যাটট্রিকে কুমিল্লার বড় জয়

ঢাকা: ২৪০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় চট্টগ্রামকে প্রত্যাশিত শুরুই এনে দেন তানজিদ হাসান তামিম এবং জশ ব্রাউন। প্রথম কয়েক ওভারে রয়েসয়ে খেললেও পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬১ রান তোলে চট্টগ্রাম। 

পাওয়ার প্লেতে তানজিদ তামিমের উইকেট হারাতে পারতো স্বাগতিকরা। তানভীর ইসলামের বলে কভারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারলেও সেটা লুফে নিতে পারেননি লিটন দাস। তাতে ২০ রানে জীবন পান তানজিদ তামিম।

পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার একটু পরই অবশ্য হোঁচট খায় চট্টগ্রাম। মুস্তাফিজুর রহমানের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট ডেলিভারিতে দারুণভাবে কাট করলেন তানজিদ তামিম। তবে ঠিক জায়গায় দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ লুফে নিলেন জ্যাকস। তরুণ এই ওপেনার ফিরলেন ৪১ রানে, ভাঙে ব্রাউনের সঙ্গে ৮০ রানের উদ্বোধনী জুটি। আরেক ওপেনার ব্রাউন ফিরেছেন পরের ওভারেই।

রিশাদ হোসেন ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে মিড উইকেট দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন অজি এই ক্রিকেটার। তবে টপ এজ হয়ে তাওহীদ হৃদয়ের ক্যাচ ফিরলেন ৩৬ রান করে। এরপর দ্রুতই টম ব্রুস, শাহাদাত হোসেন দিপু এবং কার্টিস ক্যাম্ফার। ১১৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর চট্টগ্রামের হাল ধরার চেষ্টা করেন শুভাগত হোম এবং সৈকত আলী। তারা দুজনে মিলে কুমিল্লার বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকেন।

দ্রুত রানও তুলছিলেন তারা দুজন। তবে ১১ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলা সৈকতকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মঈন। একটু পর ফিরেছেন ১৯ রান করা শুভাগতও। এরপর বাকিরা দ্রুতই বিদায় নিলে ১৬৬ রানে অল আউট হয় চট্টগ্রাম। টানা তিন বলে শহিদুল, আল আমিন এবং বিলাল খানকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেন মঈন। 

কুমিল্লার হয়ে এদিন চারটি করে উইকেট নিয়েছেন মঈন ও রিশাদ। উইল জ্যাকসের সেঞ্চুরির সঙ্গে মঈন আলী ও লিটন দাসের হাফ সেঞ্চুরিতে কুমিল্লার ২৩৯ রানের পুঁজি। রান তাড়ায় জশ ব্রাউন ও তানজিদ তামিম মিলে ৮০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়লেও মাঝে হোঁচট খায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। 

দ্রুত কয়েকটি হারালে চট্টগ্রামের হার প্রায় নিশ্চিতই ছিল। তখন কুমিল্লা কতটা দ্রুত জয়োল্লাস করতে পারবে সেই প্রহরই গুনছিলেন সমর্থকরা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের জয়ের আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা বাড়তে দিলেন না মঈন। 

নিজের চতুর্থ ওভারের প্রথম তিন বলে তিন উইকেট তুলে নিয়ে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন। চট্টগ্রামকে ৭৩ রানে হারিয়ে জয়ের ধারায় অব্যাহত রাখলো লিটনের দল।

এটি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের এই ওপেনার অপরাজিত ছিলেন ৫৩ বলে ১০৮ রানের ইনিংস খেলে। এদিকে তাকে সঙ্গ দেয়া মঈনও খেলেছেন মাত্র ২৪ বলে ৫৩ রানের ইনিংস। যদিও দুবার জীবন পেয়েছেন তিনি। 

লিটন ও তাদের দুজনের ব্যাটে ৩ উইকেটে ২৩৯ রানের পুঁজি পায় কুমিল্লা। যৌথভাবে বিপিএলের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ দলীয় রান। এর আগে ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ২৩৯ রান করেছিল রংপুর রাইডার্স।

এআর

Wordbridge School
Link copied!