• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
SonaliNews

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত নিউজ পোর্টাল

অ্যাথলেটিকোকে হারিয়ে ফাইনালে রিয়ালের মুখোমুখি বার্সা  


ক্রীড়া ডেস্ক এপ্রিল ৩, ২০২৫, ০৯:১৯ এএম
অ্যাথলেটিকোকে হারিয়ে ফাইনালে রিয়ালের মুখোমুখি বার্সা  

ঢাকা: অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে তিন মৌসুম পর কোপা দেল রের ফাইনালে উঠল বার্সেলোনা।

মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় বুধবার রাতে সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে ফেররান তরেসের একমাত্র গোলে জিতে, দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলে শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল।

আগামী ২৬ এপ্রিল ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম স্পেনের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে দেখা যাবে ক্লাসিকো মহারণ।

গত ফেব্রুয়ারিতে শেষ চারের প্রথম লেগে শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা; কিন্তু শেষ দিকে দুই গোল খেয়ে জয় হাতছাড়া করে তারা, ৪-৪ ড্র। 

অবশ্য গত মাসে লা লিগার ম্যাচে অ্যাথলেটিকোর মাঠে ৭১ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪-২ ব্যবধানে জেতে ফ্লিকের দল।

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সেলোনার অপরাজেয় যাত্রা পৌঁছে গেল টানা ২১ ম্যাচে। লা লিগার শীর্ষে থাকা দলটি এই বছরে এখনও কোনো ম্যাচ হারেনি।

এদিন আক্রমণে অনেক এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। গোলের জন্য ১৫টি শট নিয়ে ৫টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। অ্যাথলেটিকোর ৬ শটের একটিও লক্ষ্যে ছিল না।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকে জমে ওঠে লড়াই। বল দখলে অবশ্য যথারীতি আধিপত্য করে বার্সেলোনা। ষষ্ঠ মিনিটে রাফিনিয়াকে অ্যাথলেটিকোর ডিফেন্ডার সেসার আসপিলিকুয়েতা পেছন থেকে ফাউল করলে তাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। সম্ভাব্য লাল কার্ডের জন্য ভিএআরে মনিটরে দেখে আগের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন তিনি। তাকে কিছু একটা বলায় হলুদ কার্ড দেখেন অ্যাথলেটিকোর কোচ দিয়েগো সিমেওনে।

কয়েকটি ‘হাফ চান্স’ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেনি বার্সেলোনা। লামিনে ইয়ামাল ও জুল কুন্দের শট লক্ষ্যে থাকেনি। ২৭তম মিনিটে প্রথম পরিষ্কার সুযোগ পেয়েই এগিয়ে যায় সফরকারীরা। বক্সে দারুণ পাস দেন ইয়ামাল, ছুটে গিয়ে প্রথম স্পর্শে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল জালে পাঠান রবের্ত লেভানদোভস্কির জায়গায় শুরুর একাদশে সুযোগ পাওয়া তরেস।

একটু পর কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুটি সুযোগ পেয়ে যায় বার্সেলোনা। বক্সে রাফিনিয়ার শট রক্ষণে প্রতিহত হওয়ার পর বাইরে মারেন ইয়ামাল। ৩৯তম মিনিটে ইয়ামালের পাস ধরে বক্সে রাফিনিয়ার কোনাকুনি শট কাছের পোস্টে পা দিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক হুয়ান মুসো।

প্রথমার্ধে গোলের জন্য ১০টি শট নিয়ে দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে বার্সেলোনা। এই সময়ে অ্যাথলেটিকো শটই নিতে পারে মাত্র একটি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অ্যাথলেটিকো একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন আনে, তাদেরই একজন আলেকসান্দার সরলথ দারুণ সুযোগ পান ৫২তম মিনিটে। কিন্তু ওয়ান-অন-ওয়ানে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। তিন মিনিট পর সুযোগ পায় বার্সেলোনা, বক্সে ফের্মিন লোপেসের পাসে রাফিনিয়ার শট ঠেকান গোলরক্ষক।

৬৯তম মিনিটে বার্সেলোনার জালে বল পাঠান সরলথ, তবে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ৭৪তম মিনিটে তরেসের বদলি নামার একটু পরই গোলে শট নেন লেভানদোভস্কি, তবে গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি।

বাকি সময়ে দুই দল চেষ্টা করে গেলেও স্কোরলাইনে আর পরিবর্তন আসেনি।

এআর

Wordbridge School
Link copied!