ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬–এর ড্রয়ে ব্রাজিল পড়েছে তুলনামূলক ভারসাম্যপূর্ণ গ্রুপে। ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আনুষ্ঠানিক ড্র অনুযায়ী পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা খেলবে গ্রুপ সি–তে, যেখানে তাদের সঙ্গী মরক্কো, স্কটল্যান্ড ও হাইতি। বাছাইপর্বে প্রত্যাশামতো পারফর্ম না করলেও দুটি বিষয় এবার ব্রাজিলকে নতুন করে আশাবাদী করছে, যা ‘হেক্সা’ জয়ের স্বপ্নে বাড়তি রং যোগ করছে।
কনমেবল অঞ্চলের বাছাইপর্বে ব্রাজিলের সূচক খুব উজ্জ্বল ছিল না—৮ জয়, ৪ ড্র, ৬ হারে তারা শেষ করে পঞ্চম স্থানে। তবুও গ্রুপের মান ও প্রতিপক্ষের শক্তি বিবেচনায় ব্রাজিলের সামনে এগোনোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
মরক্কো অবশ্য তাদের গ্রুপের সবচেয়ে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচিত। ২০২২ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলা দলটি বাছাইপর্বে অপরাজিত থেকে শীর্ষে ছিল। সংগঠিত ডিফেন্স আর শারীরিক ফুটবল ব্রাজিলের আক্রমণভাগের জন্য বড় পরীক্ষা হয়ে উঠতে পারে।
২৮ বছর পর বিশ্বকাপে ফেরা স্কটল্যান্ডও চমক দিতে পারে। অভিজ্ঞতা ও রক্ষণাত্মক কৌশলের কারণে তাদেরকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।
অন্যদিকে হাইতি, মাত্র দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে উঠলেও বাছাইয়ে দৌড়, গতি এবং কাউন্টার–অ্যাটাকে দারুণ ছাপ রেখেছে।
২০২৫ সালের মে মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর কার্লো আনচেলত্তির অধীনে ব্রাজিল ধীরে ধীরে ছন্দ ফিরে পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত আট ম্যাচে তাদের রেকর্ড—চার জয়, দুই ড্র ও দুই হার। বড় টুর্নামেন্টের আগে দলের গঠন ও রণকৌশলে ইতিবাচক পরিবর্তন স্পষ্ট।
যে দুটি কাকতালীয় তথ্য ব্রাজিলকে বাড়তি আশা দিচ্ছে
ব্রাজিল শিবিরে আশার সবচেয়ে বড় উৎস হলো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির ইঙ্গিত—
১. শেষ দুই বিশ্বকাপজয়ী দল (ফ্রান্স ২০১৮, আর্জেন্টিনা ২০২২)—দুটি দলই খেলেছিল ‘গ্রুপ সি’–তে।
২. ২০০২ সালের বিশ্বকাপ, যেখানে ব্রাজিল শেষবার শিরোপা জিতেছিল, সেবারও তারা ছিল গ্রুপ সি–তে।
ফুটবলে ভাগ্য সবসময় প্রভাব রাখে না, তবে বড় টুর্নামেন্টে কাকতালীয় মিল অনেক সময় দলকে মানসিক শক্তি দেয়। তাই এই দুটি তথ্য ‘হেক্সা’ মিশনে ব্রাজিলকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিতে পারে।
এম







































