• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অগ্নি প্রতিরোধ আইন মানছে না হাসপাতাল ও ক্লিনিক


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯, ১১:৫৬ এএম
অগ্নি প্রতিরোধ আইন মানছে না হাসপাতাল ও ক্লিনিক

ফাইল ছবি

ঢাকা: রাজধানীসহ সারাদেশেই অগ্নি প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা আইন যথাযথভাবে না মেনে নির্মিত ভবনে চলছে অসংখ্য হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কার্যক্রম।

নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশিরভাগ বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রেই আইন মানা হয়নি। অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নিয়মিত মহড়ার আয়োজনও করা হয় না। ফলে যে কোন দুর্ঘটনায় বেড়ে যায় ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা। যদিও সরকারি হাসপাতালে নিয়মিত মহড়ার আয়োজন করা হয় বলে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাপনা আধুনিক করার তাগিদ উঠে এলো তার কণ্ঠেও।

অগ্নি প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা আইনে ভবনের অবস্থান, সিঁড়ি ও পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রতি ফ্লোরে নিরাপত্তা লবি, জরুরি বহির্গমন পথ, রিজার্ভ ট্যাংকে ৫০ হাজার গ্যালন পানি রাখাসহ ৩০টিরও বেশি সুবিধা রাখার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এসব শর্ত মানা হয় না।

অগ্নিকাণ্ড বা ভবনধসের মতো দুর্ঘটনা মোকাবেলায় যথাযথ নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও, কম ক্ষেত্রেই তা মানা হয়। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০০৬ সালে রাজউকের করা নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ভবন সার্টিফিকেশনের যে নিয়ম রয়েছে তাও মানা হয় না। স্থপতি ও পরিবেশবিদ ইকবাল হাবিব আরো জানালেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় নিয়মিত মহড়ার আয়োজন করার কথা থাকলেও তা হয় না।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানালেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে মাঝে মাঝেই অগ্নিনির্বাপনের মহড়া হয়। যদি কোথাও না হয়ে থাকে, তাহলে সেখানেও নিয়মিত তা করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

তবে সকল সরকারি হাসপাতালে আধুনিক অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাপনা না থাকার কথাও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি হাসপাতালের তুলনায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের অবস্থা অনেকটাই বেহাল। ফলে সেখানে দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা অনেক বেশি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!