• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইভান্সের সেঞ্চুরির পর রাব্বির বোলিং নৈপুন্যে জিতল রাজশাহী


ক্রীড়া প্রতিবেদক জানুয়ারি ২১, ২০১৯, ০৫:২০ পিএম
ইভান্সের সেঞ্চুরির পর রাব্বির বোলিং নৈপুন্যে জিতল রাজশাহী

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: লরি ইভান্সের সেঞ্চুরি এবং রায়ান টেন ডসকেটের হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়েছিল রাজশাহী কিংস। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে নেমে পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির বোলিং তোপে পড়ে ১০ বল বাকি থাকতে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ফলে ৩৮ রানের দারুন এক জয় পায় মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

জয়ের জন্য ১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনার তামিম ইকবাল আর আনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে দারুণ সূচনা করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কুমিল্লার ৩৭ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। মার্শাল আয়ুবের তালুবন্দি হয়ে ফেরার আগে ২৪ বলে ২টি চার আর ২টি ছক্কায় ২৫ রান করেন জাতীয় দলের এই ওপেনার।

তবে শামসুর রহমানকে সঙ্গী করে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন আনামুল হক বিজয়। কিন্তু দলীয় ৬৭ রানে বিজয়কে শাহরীয়ার নাফীসের ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন টেন ডসকেট। স্কোর বোর্ডে আর ৪ রান যোগ হতেই সাজঘরের পথ ধরেন শামসুর রহমান। আরাফাত সানির বলে বদলি ফিল্ডার প্রসন্নর তালুবন্দি হন তিনি। এক পর্যায়ে ১১০ রানে ৬ উইকেট হারায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

এরপর ক্রিজে এসে ব্যাটে ঝড় তোলেন শহীদ আফ্রিদি। এক ওভারে ২টি ছক্কা হাকান তিনি। পরের ওভারে রাব্বির হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মিরাজ। আস্থার প্রতিদান দিয়ে ১৮তম ওভারে আফ্রিদি (১৯), লিয়াম ডসন (১৭) ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের উইকেট তুলে নেন জাতীয় দলের এই পেসার। ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজের বলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে বিদায় নেন মেহেদী হাসান। ফলে ১৩৮ রানে অলআউট হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তাতেত ৩৮ রানের জয় পায় মেহেদী হাসান মিরাজের দল। রাজশাহীর এটা চতুর্থ জয়। 

কামরুল ইসলাম রাব্বি ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে মুল্যবান ৪টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া রায়ান টেন ডেসকাট ও কায়েস আহমেদ দুটি করে উইকেট নেন। মোস্তাফিজও সানি নেন ১টি করে উইকেট। 

সোমবার (২১ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের ২৩তম ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রাজশাহী কিংস। ২৮ রানের ব্যবধানে উপরের সারির তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস ৫, অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ০ ও মার্শাল আইয়ুব ২ রান করে ফিরেন।

৩৭ বলের মধ্যে ৩ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে খাদের কিনারায় পড়ে যায় রাজশাহী। এ অবস্থায় দলকে লড়াইয়ে ফেরান দুই বিদেশী ইভান্স ও ডসেট। চতুর্থ উইকেটে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেন তারা। দারুণ বোঝাপড়া গড়ে উঠে ইভান্স ও ডসেটের মধ্যে। তাই শুরুর ধাক্কা ভুলে বড় স্কোরের পথ পেয়ে যায় রাজশাহী।

দলকে ভালো স্কোর এনে দিতে গিয়ে ইনিংসের শেষ ওভারে এবারের আসরের প্রথম ও নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারেও প্রথম সেঞ্চুরি করে দেখান ইভান্স। নিজের মুখোমুখি হওয়া ৬১তম বলে সেঞ্চুরি করেন ইভান্স। শেষ পর্যন্ত ৯টি চার ও ৬টি ছক্কা ৬২ বলে ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন ইভান্স। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেয়া ডসেট অপরাজিত থাকেন ৫৯ রানে। তার ৪১ বলের ইনিংসে ২টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিলো। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইভান্স-ডসেটের ৮৩ বলে ১৪৮ রানের সুবাদে ৩ উইকেটে ১৭৬ রানের সংগ্রহ পায় রাজশাহী। কুমিল্লার পক্ষে ২০ রানে ২ উইকেট নেন ইংল্যান্ডের লিয়াম ডসন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!