• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তারেক রহমান দেশে না আসার কারণ জানালেন আলাল


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৭, ২০১৯, ০৬:০২ পিএম
তারেক রহমান দেশে না আসার কারণ জানালেন আলাল

ঢাকা: ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ’নির্বাচন নামক একটা নাটক’ এবং বর্তমান সরকারকে ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উত্তরসূরি বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সরাসরি টক-শো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এ কথা বলেন তিনি।

ওই অনুষ্ঠানে টক-শো উপস্থাপিকার এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ’কিছু স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক নিয়ম আছে পৃথিবীতে। ঝাঁক বেঁধে যখন পাখিরা উড়ে যায় তখন যদি সেখানে গুলি করে একটি পাখিকেও অন্তত আহত করা যায়, নিহত না হলেও ঝাঁকটা কিন্তু তাৎক্ষণিক ভেঙে যায়। পরবর্তীতে তারা কোথাও গিয়ে আবার একত্রিত হয়।’

এ প্রসঙ্গটি উল্লেখ্য করে আলাল বলেন, ’মানব চরিত্রের মধ্যেও সে রকম কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে একটি দল ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। শুধু তাই নয়, সেই দলের প্রধানকে (বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া) তার বাড়ি থেকে উৎখাত করা হয়েছে, তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, আবার নতুন মামলা দেওয়া হয়েছে। আর পরবর্তী সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে) তিনি প্রবাসে অবস্থান করছেন। অনেক রকমের অপবাদ বা অপরাধের অভিযোগ মাথায় নিয়ে আর জীবনের নিরাপত্তার কারণে মূলত তিনি দেশে আসতে পারছেন না। একটি দলের কমান্ড এবং সেকেন্ড-ইন-কমান্ড যখন এই অবস্থায় থাকে তখন একটা দলের মধ্যে বিভিন্ন রকম ত্রুটি হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক কিছুই না বলে আমি মনে করি। তবে এই অস্বাভাবিকতাটাকে আমরা বিএনপির জন্য যতটা না ক্ষতি মনে করছি সেটা একটি উপলদ্ধির বিষয়।’

তিনি বলেন, ’একজন মানুষের মধ্যে যেমন অনেক গুণাবলী থাকে। তেমনি বিএনপির মধ্যের গুণাবলীকে বেছে বেছে হত্যা করার জন্য যত প্রতিবদ্ধকতা করা দরকার গত ১২ বছরে সেটা করা হয়েছে। ফখরুদ্দীন আহমদ-মইনুদ্দিন সাহেবরা সেটা করেছেন তাদের উত্তসূরি হিসেবে বর্তমান সরকার প্রধান তিনি নিজের তত্ত্বাবধানে করেছেন। যার প্রমাণ জেনারেল মাসুদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা, যার প্রমাণ জেনারেল মঈন আবার দেশে ফিরে আসছে সে রকম একটা ইঙ্গিত, আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এসব কিছু মিলে জাতীয়তাবাদী শক্তির বিপক্ষে যে একটা অগণতান্ত্রিক এবং ফ্যাসিস্ট শক্তি দাঁড়িয়ে গেছে ১২ বছরের মধ্যে। তার মধ্য থেকেই কিন্তু আমাদের মধ্যে ক্ষয়েশ্রূতটা সংক্রমিত হয়েছে। এ সংক্রমিত হয়েছে বলেই সিদ্ধান্তটা আগের মতো ত্রুটিহীন হচ্ছে না। ত্রুটিপূর্ণ সিদ্ধান্ত হচ্ছে। এটা স্বীকার করতেই হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, প্রয়োজনে আমরা চলে যাই অনেকেই অসুস্থতার কারণে, এমনকি স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও উপস্থিত হতে পারেন না। আসলে বিএনপিতে তৃণমূল থেকে একবারে শীর্য পর্যায় পর্যন্ত ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে কিনা? এমন প্রশ্নে জবাবে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ’ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ কিংবা খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মতো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক জাতীয়তাবাদী আদর্শে যারা অত্যন্ত পরিপক্ক তারা যে কথাটি বলেছেন এ কথাটির মধ্যে দুটো দিক রয়েছে। একটা হলো- তারা তাদের ক্ষোভের এবং অপারগতার জিনিসটি প্রকাশ করেছেন নেতা কর্মীদের সামনে। দ্বিতীয় টা হলো- নেতা কর্মীদের উজ্জীবিত করেছেন এই বলে যে আমাদের জায়গায় আমরা চলে গেলে তোমরা এই জায়গায় এসে নেতৃত্ব দেও।’ সূত্র:বিডি২৪লাইভ


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!