• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন নিয়ে যা বললেন ছাত্রলীগ সভাপতি


নিউজ ডেস্ক নভেম্বর ১, ২০১৮, ১০:৩৯ এএম
পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন নিয়ে যা বললেন ছাত্রলীগ সভাপতি

ঢাকা: রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের কি ভূমিকা থাকবে, কবে হবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি, কারা স্থান পাচ্ছেন এ কমিটিতে এসব নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হন।

সাংবাদিক: পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে এত দেরি হচ্ছে কেন?
শোভন:
আসলে যারাই রাজনীতি করে সবাই চায় কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে। আগের কমিটির যে ৩০১ জন ছিলেন তারাও চান কমিটিতে আসতে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর ও বিভিন্ন জেলার নেতারাও কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসতে চান। আমরা অনেকের বায়োডাটা পর্যালোচনা করে দেখেছি তাদের আগে কোনো পদ নেই , কিন্তু তারা অনুপ্রবেশ করেছে। আমরা চাই এ কমিটিতে যাতে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে। যারা ত্যাগী নেতা তারা যেন মূল্যায়িত হয় সেদিক বিবেচনা করে কমিটি দিতে একটু দেরি হচ্ছে।

সাংবাদিক: সেন্ট্রাল, মহানগর ও ঢাবির পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে হবে?
শোভন:
নির্বাচনের আগে আংশিক কমিটি দেয়া হবে। আর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা কাজ করবেন তাদের তো মূল্যায়ন করতে হবে। সেদিক বিবেচনা করে নির্বাচনের পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হবে।

সাংবাদিক: আপনি ছাত্রলীগের পূর্বের ও বর্তমান কমিটির মাঝে কি পার্থক্য দেখেন?
শোভন:
পূর্বের ও বর্তমান ছাত্রলীগের নীতিগত কোনো পার্থক্য নেই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আমরা সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। যারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তারাও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করে গেছেন। তবে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।

সাংবাদিক: ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আপনারা কি ধরনের পদক্ষেপ নেবেন?
শোভন:
অনুপ্রবেশকারী বলতে কাকে বুঝছি তা আগে বুঝতে হবে। অনুপ্রবেশকারী বলতে আমি বুঝি যার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নেই কিন্তু তারা ছাত্রলীগ করছে, এরাই তো অনুপ্রবেশকারী। আমরা অনেক বিচার-বিশ্লেষণ করব, যারা ২০১৪ সালের প্রেক্ষাপটে মাঠে ছিলেন, আমরা সেখান থেকে কেন্দ ীয় কমিটি বানানোর চেষ্টা করব। কেন্দ্রীয় কমিটি এমন কমিটি যেখানে উড়ে এসে জুড়ে বসবে এ রকম নয়। কোথাও না কোথাও অবদান আছে, ছাত্রলীগের কোনো ইউনিটে কাজ করেছে, কোনো জেলায় কাজ করছে। সেখানে একটা ভাইটাল রোল প্লে করেছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা বিচার করব।

সাংবাদিক: ছাত্রলীগের গ্রুপিংয়ের প্রভাব কি নির্বাচনে পড়বে?
শোভন:
ছাত্রলীগ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং জননেত্রীর অনুপ্রেরণা। ছাত্রলীগের মধ্যে গ্রুপিং আছে, মারামারি আছে, একজন আরেকজনকে দেখতে পারে না। কোনো ক্রান্তিলগ্নে কিংবা দুঃসময়ে ছাত্রলীগ কিন্তু এক হয়ে যায়। ছাত্রলীগ মন থেকে বুঝে নিতে পারে কখন কি করতে হয়। সুতরাং গ্রুপিংয়ের প্রভাব নির্বাচনে পড়বে না।

সাংবাদিক: কোনো বর্ধিত সভা ছাড়াই ময়মনসিংহ মহানগর ইউনিট গঠন করা অগঠনতান্ত্রিক কিনা?
শোভন:
ময়মনসিংহের কমিটি জেলা কমিটির অধীনে ছিল। ময়মনসিংহ আগে পৌরসভা ছিল এখন মহানগর হয়েছে। মহানগর হওয়ার পর পরই তারা নিজে নিজে কমিটি করে নিয়েছে। বিষয়টি আমরা জেনেই তাৎক্ষণিক কমিটি বাতিল করে দিয়েছি এবং নির্বাচনের আগেই তাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার জন্য বলেছি।

সাংবাদিক: লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন পেশায় যারা আছেন তাদের কি মূল্যায়ন করা হবে?
শোভন:
ছাত্রলীগ করতে হলে পদ নিয়ে করতে হবে এটা খারাপ দিক। যে যে পেশায় আছেন সেখান থেকে ভালোবেসে রাজনীতি করতে পারেন। যারা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে তাদের জন্যই দল।

সাংবাদিক: বর্তমান কমিটির অর্জনগুলো কি?
শোভন:
মাত্র ৩ মাস হলো আমাদের কমিটি হয়েছে। এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। আমরা চেয়েছি এ সময়ে দলকে কিছু দেয়ার জন্য কিন্তু পারিনি। তবে ছাত্র আন্দোলন, কোটা আন্দোলন ও ঢাবির প্রশ্নফাঁসের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদান ছিল অনেক।

সাংবাদিক: নির্বাচনে ছাত্রলীগের অবদান কি থাকবে?
শোভন:
ছাত্রলীগ এমনিতে একটি সুসংগঠিত সংগঠন। প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়েও আমাদের কমিটি আছে। আমরা এখন সংসদ নির্বাচনের প্রতিটি কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি করতে চাই। প্রচার করতে চাই সরকারের উন্নয়নগুলো। দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে এবং বর্তমান সরকারকে আবারো ক্ষমতায় নিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে ছাত্রলীগ।

সাংবাদিক: মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ও যেসব কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী আছে সেখানে কি করবেন?
শোভন:
এসব অনেক কমিটি আমরা ইতিমধ্যে বাতিল করে নতুন কমিটি দিয়েছি। বাকি যেসব কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনুপ্রবেশকারী রয়েছে সেসব কমিটি বাতিল করে নির্বাচনের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হবে। নির্বাচনের আগে সব কমিটি ভেঙে দিলে তা আবার পূর্ণাঙ্গ করা অনেক জটিল হয়ে যাবে। এর কারণে হিতে বিপরীত ঘটতে পারে।

সাংবাদিক: ছাত্রলীগকে কোন অবস্থায় দেখতে চান?
শোভন: বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ এই ৩টি বিষয়কে যারা মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসে তাদের নিয়েই ছাত্রলীগকে সাজাতে চাই। আমরা দেখতে চাই ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাই হবেন আদর্শবান এবং দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। ছাত্রলীগের কর্মী নাম শুনলেই শুধু বাংলাদেশে নয় পুরো বিশ্বে যেন মূল্যায়িত হন সেজন্য প্ল্যাটফর্ম আমরা গড়ে তুলতে চাই। খবর- দৈনিক মানবকণ্ঠ।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!