রক্তাক্ত শ্রীলঙ্কা, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০৭

ঢাকা : শ্রীলঙ্কায় গির্জা, পাঁচতারা হোটেলসহ অন্তত আটটি জায়গায় ভয়াবহ এই সিরিজ বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর ৩টা পর্যন্ত আটটি বিস্ফোরণ ঘটেছে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোসহ সংলগ্ন এলাকায়।

রোববার সকালে রাজধানী কলম্বোর তিনটি হোটেল ও তিনটি গির্জায় ধারাবাহিক এই বিস্ফোরণে কেঁপে শ্রীলঙ্কা। এরপর আরও দুটি বিস্ফোরণ ঘটে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০৭ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৫০০ জন। হামলার পর দেশ জুড়ে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষ।

এর আগে রোববার ইস্টার সানডের সকালে কলম্বোর বিলাসবহুল সিনামুন গ্রান্ড, শাঙ্গরি-লা ও কিনসবুরি হোটেল ও কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি গীর্জা, নেগোমবোর সেন্ট সেবাস্তিয়ান গীর্জা ও বাত্তিকালোয়ার জিওন গীর্জায় হামলা হয়। দেশটির পুলিশের প্রধান বলেছেন, তিনি এই হামলার ব্যাপারে ১০ দিন আগেই সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।

দেশটির প্রধান এবং প্রসিদ্ধ গীর্জাগুলো ইস্টার সানডের দিনে আক্রান্ত হতে পারে বলে ওই সতর্কবার্তায় জানান তিনি। রোববার সকাল ৮টার দিকে প্রথম বিস্ফোরণের খবর আসে। সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছে নিহতের সংখ্যা ততই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেশটির ইতিহাসে এই হামলাকে কালো অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

রাজধানী কলম্বোসহ পুরো দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তিনটি গীর্জা ও বিলাসবহুল তিনটি হোটেলে ভয়াবহ বোমা হামলায় ১৮৫ জন নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর দেশটির রাজধানীতে আরো দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। কলম্বোর কাছের দেহিওয়ালা এলাকায় সপ্তম বিস্ফোরণে অন্তত দুইজন নিহত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ফরাসী বার্তা সংস্থা এএফপি।

এ ছাড়া অষ্টম বিস্ফোরণটি রাজধানীর ডেমাটাগোদার একটি আবাসন এলাকায় ঘটেছে। প্রথম হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এই বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী কিংবা ব্যক্তি রোববারের এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে হামলার পেছনে ইসলামী চরপমপন্থী আত্মঘাতী বোমারুরা জড়িত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

বোমা হামলায় হতাহতের ঘটনায় দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পুরো দেশে কারফিউ বলবৎ থাকবে। আগামী সোম ও মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর