• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হংকংয়ে ৬৮ তলায় শান্তির পতাকা উড়ালেন ‘স্পাইডারম্যান’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ১৭, ২০১৯, ০৯:৫৯ এএম
হংকংয়ে ৬৮ তলায় শান্তির পতাকা উড়ালেন ‘স্পাইডারম্যান’

ঢাকা : হংকংয়ে চলমান রাজনৈতিক অরাজকতা। এবার সেই অরাজকতার বিরুদ্ধে দেশটির একটি ৬৮ তলা বহুতল ভবন ঝুলে শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন ‘স্পাইডারম্যান’ খ্যাত অ্যালাইন রবার্ট।  

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে হংকংয়ের একটি সুউচ্চ ভবনে করমর্দনের ছবিসহ হংকং ও চীনের পতাকাখচিত একটি ব্যানার টাঙান রবার্ট। খবর এএফপির। হংকংয়ে ১০ সপ্তাহ ধরে চলছে সরকারবিরোধী আন্দোলন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের এরই মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে। স্বাধীনতাকামী বিক্ষোভকারীদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে চীন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উঁচু ভবনে ওঠার জন্য পরিচিত ৫৭ বছর বয়সী এই ফরাসি। এক বিবৃতিতে রবার্ট বলেন, ‘হংকংয়ের জনগণ ও সরকারের মধ্যে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনার বার্তা’ দিতেই ওই ভবনে চড়েন তিনি। আমি যেটুকু করতে পারি তা হল, পরিস্থিতির উত্তাপ কিছুটা কমানো এবং হয়তো একটু হাসি ফোটানো।’

বরাবরের মতো হংকংয়ের ৬৮ তলা চিয়াং কং ভবনে ওঠার জন্যও কোনো দড়ি বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখেননি রবার্ট। এদিকে স্পাইডারম্যানের ভবন আরোহণ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নেটিজেনবাসী। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত চীনা বংশোদ্ভূত শিল্পী বাডিয়ুকাও টুইটে লেখেন, ‘আপনি কি সত্যিই কসাই ও স্বৈরশাসকের সঙ্গে হাত মেলাতে চান?’

চিয়াং কং সেন্টারের মালিক এশিয়ার অন্যতম ধনী লি কা শিং। গত কয়েক সপ্তাহের সংঘর্ষের অবসান চেয়ে শুক্রবার হংকংয়ের বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন বিলিয়নিয়র লি।

সাধারণত আগে থেকে কিছু না জানিয়ে অথবা পূর্ব অনুমতি না নিয়ে বহুতল ভবনে আরোহণ করে থাকেন রবার্ট। গত বছরের আগস্টে হংকংয়ের একটি আদালতে রবার্টকে শহরের কোনো ভবনে আরোহণের বিষয়ে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। সে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ বছরের শুরুর দিকে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার একটি ৪৭ তলা ভবনে ওঠার কারণে রবার্টকে পুলিশ আটক করেছিল। এর আগে রবার্ট বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা, কুয়ালালামপুরের পেট্রোনাস টাওয়ার্স, তাইওয়ানের তাইপে ১০১ ভবন ও লন্ডনের হেরন ভবনে আরোহণ করেছিলেন।

যে কোনো সন্দেহভাজন অপরাধীকে চীন সরকারের হাতে তুলে দেয়ার একটি প্রত্যর্পণ বিল নিয়ে গত এপ্রিলে হংকংয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। এ বিল বাস্তবায়ন হলে হংকংয়ের আইনি স্বাধীনতায় চীন হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পাবে এবং যে কোনো সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড দমনের হাতিয়ার হিসেবে এটাকে ব্যবহার করা হবে বলে সমালোচকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

এরপর থেকেই হংকংয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ বেগবান হয়। একপর্যায়ে বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিলটি সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করে হংকং প্রশাসন।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!