• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অর্ডের ফেলে যাওয়া ফুটবল টেনে তুলতে পারবেন জেমি


ক্রীড়া প্রতিবেদক মে ১৯, ২০১৮, ০৫:৪১ পিএম
অর্ডের ফেলে যাওয়া ফুটবল টেনে তুলতে পারবেন জেমি

ফাইল ছবি

ঢাকা: এক বছরের দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকদের মনে স্বপ্ন আকতে শুরু করে দিয়েছিলেন অ্যান্ড্রু অর্ড। কিন্তু লাল সবুজের জার্সিধারী জাতীয় দলের সঙ্গে থাইল্যান্ড সফরে গিয়ে আর ফেরেন নি অর্ড। কারণ, তার উদ্দেশই ছিল নিজের নামের সঙ্গে জাতীয় দলের কোচের তকমা লাগানো। সেই মিশন সম্পূর্ণ করেই জাফর-সুফিলদের ফেলে চলে যান ব্রিটিশ বংশোদ্ভুত অষ্ট্রেলিয়ান কোচ। সেই শূন্যস্থানে এবার আরেক ব্রিটিশ কোচ নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।  

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নতুন এই ইংলিশ কোচের নাম জেমি ডে। ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের সাবেক এই খেলোয়াড়কে এক বছরের জন্য প্রধান কোচ হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে বাফুফে। এরইমধ্যে অনলাইনে বাফুফের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি করেছেন এই ব্রিটিশ। শনিবার (১৯ মে) বাফুফে ভবনে জাতীয় ফুটবল লের নতুন কোচের পরিচিত সভায় ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ এ খবর নিশ্চিত করেন।   

কাজী নাবিল বলেন, ‘১ জুন থেকে আগামী এক বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে জেমি ডে কে। আশা করছি তিনি জুনের প্রথম সপ্তাহে এসে কাজে যোগ দেবেন। জাতীয় দলের জন্য প্রাথমিক ক্যাম্পে ৪১ জনকে ডাকা হয়েছে। পরবর্তীতে আরো ৪-৫ জন যোগ হবে। ২৬ মে থেকে বিকেএসপিতে ক্যাম্প শুরু করা হবে যাতে করে কোচ আশার আগেই দলের ফিটনেস লেভেল একটা পর্যায়ে নেয়া যায়।’

এর আগে অর্ডকে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে ন্যাশনাল টিমস কমিটির যুক্তি ছিলো তার এশিয়ান লেভেলের ফুটবলারদের নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু জেমি সেই অভিজ্ঞতাও নেই। তাকে নিয়োগের পেছনে নাবিলের যুক্তি হলো, ‘আমরা তার ফুটবল ক্যারিয়ার দেখেছি। সে ইংল্যান্ডে চারটি বয়স ভিত্তিক লে খেলেছে। আর্সেনাল থেকে তার রেফারেলে চিঠি য়ো হয়েছে। কোচের শিক্ষাগত যোগ্যতা বা তিনি হাইপ্রোফাইল কিনা সেটি যেমন বিবেচ্য তেমনি আমাদের নিজেদের ফুটবলারদের ধারণ ক্ষমতা কতটুকু সেটাও দেখতে হবে।’

নাবিল জানান পুরো কোচিং স্টাফ নিয়েই আলোচনা চলছে। নতুন কোচের সঙ্গে গোলরক্ষক কোচ, ফিটনেস ট্রেইনার সবই নতুন নিয়োগ দেয়া হবে। বর্তমানে সহকারী কোচ মাহবুব হোসেন রক্সির সঙ্গে কায়সার ও বাবু নামের দু’জন স্থানীয় কোচের অধিনে শুরু হবে জাতীয় দলের ফিটনেস ক্যাম্প।

বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে জেডি ডের পরিকল্পনা কি? এমন প্রশ্নে নাবিল জানান, ‘আলোচনায় তিনি আমাদের লক্ষ্য জানতে চেয়েছেন। আমরা সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল টার্গেট দিয়েছি। একজন স্টাবলিশ কোচের নিজেকে আমাদের কছে প্রমাণের কিছু নেই। কিন্তু  এই কোচের নিজের প্রয়োজনেই আগ্রহ থাকবে ভালো করার। আমাদের কাছে প্রমাণ করার।’

জেমি হবেন বাংলাদেশের ২১তম বিদেশি এবং দ্বিতীয় ব্রিটিশ কোচ। এর আগে ২০০২ সালে মার্ক হ্যারিসন নামের এক ইংলিশ অল্প দিনের জন্য বাংলাদেশের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। দেড় মাস আগে চাকরি ছেড়ে যাওয়া অ্যান্ড্রু ওর্ডের মতো নতুন কোচও অনভিজ্ঞ। এই প্রথম কোনো জাতীয় দলের ডাগআউটে দাঁড়াবেন তিনি। কোনো দেশের তো নয়ই, বড় কোনো ক্লাবের দায়িত্বও পালন করেননি জেমি। বাংলাদেশের আগে তিনি ছিলেন ইংল্যান্ডের পঞ্চম বিভাগ লিগের ক্লাব ব্যারো এফসির সহকারী কোচ।

জেমি ডে লিলেশাল ন্যাশনাল স্পোর্টস সেন্টারে ফুটবল খেলা শুরু করেন। সে সময় তার সঙ্গে ফুটবল খেলা শুরু করেছিলেন মাইকেল ওয়েনের মতো তারকারা। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৮ দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন জেমি ডে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব আর্সেনালের সঙ্গে তার চুক্তিও হয়েছিল। তিনি এই ক্লাবের হয়ে একটি ম্যাচও খেলেননি।

১৯৯৯ সালের মার্চে তিনি যোগ দেন ইংলিশ ক্লাব বার্নাম্যুতে। এই ক্লাবে তার অভিষেক হয় নর্দাম্পটন টাউনের বিপক্ষে। জেমি ডে’র জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়নি ইনজুরির কারণে। তারপরও কোচ হিসাবে তিনি খেলাধুলার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। তিনি আর্সেনাল ও চার্লটনের যুব দলের কোচ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।  ইদি হওয়ে ও আর্সেন ওয়েঙ্গারের সুপারিশে তিনি উয়েফার ‘এ’ কোচিং লাইসেন্স পান।

২০০৯ সাল থেকে জিমি সিনিয়র টিমের কোচ হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। তিনি আরও কয়েকটি ক্লাবের হয়ে কাজ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ওয়েলিং ইউনাইটেড এফসি, এবসফ্লিট ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব, ব্রেইনট্রি টাউন ফুটবল ক্লাব ও গিলিংহ্যাম এফসি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!