• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দীপা হত্যার বিচারের দাবিতে জবিতে মানববন্ধন


জবি প্রতিনিধি অক্টোবর ২৪, ২০১৬, ০৭:০১ পিএম
দীপা হত্যার বিচারের দাবিতে জবিতে মানববন্ধন

ঢাকা : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) গণিত বিভাগের মাষ্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী দীপা রাণী নাথের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দীপার পরিবারের সদস্যরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নেয়। 

সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে দীপার বাবা দীজেন্দ্র লাল দেবনাথ বলেন, “আমার মেয়ে শিক্ষিত, সে সবসময় অপমৃত্যুর বিপক্ষে কথা বলত। সে কখনও আত্মহত্যা করতে পারে না। মৃত্যুর দিন বিকাল সাড়ে ৪টায় দীপা আমার সঙ্গে মোবাইলে অনেক স্বাভাবিক ভাবে কথা বলেছে। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় দীপার স্বামী আমাকে জানান, দীপা আত্মহত্যা করেছে, দীপার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে । 

তিনি অবিলম্বে দীপার হত্যাকারী স্বামী সুব্রত চেীধুরী ও দীপার শ্বশুর-শ্বাশুড়ীকে গ্রেপ্তাতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. আইয়ুব আলী বলেন , ‘আমরা অনেক হত্যার জন্য রাস্তায় নেমেছি, এর কোনটিরই কোন ন্যায় বিচার পায়নি।তনু হত্যা, রিশা হত্যা কিংবা অতিসম্প্রতি খাদিজাকে হত্যা করার চেষ্টা, এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির ই ফলাফল । আমাদের আর কত মেয়ে জীবন দিলে আমরা এর বিচার পাবো?’

দীপার পারিবারিক সুত্র জানায়, দীপা রাণী নাথ ও সুব্রত চেীধুরী প্রায় দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে করে । বিয়ের পর সুব্রতের বাবা-মা দীপাকে মেনে নেয়নি। তারা বিভিন্ন সময় দীপাকে যৌতুক,পড়াশুনা বন্ধ করাসহ নানা অজুহাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। সর্বশেষ এ বছরের ২৩ জানুয়ারি স্বামী,শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয়ে দীপা বাবার বাড়িতে চলে আসে। পরে দীপার স্বামী সুব্রত চেীধুরী দীপার বাবাকে অনেক অনুরোধ করে এবং পরবর্তীতে আর এমন ঘটনা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীপাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে।

সুত্রটি আরো জানায়,  দীপা রাণীর ফাঁসি দেওয়ার পর আইনানুগভাবে দীপা রাণীর স্বামী পুলিশকে খবর না দিয়ে নিজেই দীপা রাণীর লাশ ফাঁসির দড়ি থেকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। এছাড়া হত্যাকান্ডের চিহ্ন মুছে ফেলতে দীপা রানীর স্বামী দীপা রাণীর লাশ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পুড়িয়ে ফেলার চাপ দেয়।

এসময় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, দীপা রাণীর মা রুপালী দেবনাথ, দীপা রাণীর বড় বোন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুবর্ণা দেব নাথ, হিন্দু-বেীদ্ধ-খ্রীস্টান মহিলা ঐক্য পরিষদের ঢাকা মহানগরের সভাপতি সুপ্রিয়া ভট্রাচার্য,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আইয়ুব আলী, প্রধান প্রকেীশলী সুকুমার চন্দ্র সাহা,শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এফ এম শরীফুল ইসলাম , সাধারণ সম্পাদক এস এম সিরাজুল ইসলামসহ প্রমুখ। 

পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে দেখা করলে তিনি তাদেরকে যাবতীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন বলে জানান দীপার বোন সুবর্ণা নাথ। এদিকে স্ত্রী হত্যার অভিযোগের ব্যাপারে সুব্রত চেীধুরীর সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিএব্যপারে কোন কথা বলতে রাজিহননি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম ব্যাচের শিক্ষার্থী দীপা নাথ শুক্রবার (২১ অক্টোবর) মারা যান। এ হত্যার ঘটনায় রাজধানীর কলাবাগান থানায় এক মামলা হয় ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
 

Wordbridge School
Link copied!