ঢাকা: ক্ষন গণনার শেষ মুহুর্তের অপেক্ষা। কাল বাদে পরশুই মাঠে গড়াচ্ছে ‘মিনি বিশ্বকাপ’ খ্যাত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বৃহস্পতিবার (১ জুন) ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও লাল সবুজের বাংলাদেশ দলের মধ্যেকার খেলা দিয়ে পর্দা উঠছে মর্যাকর এই টুর্নামেন্টর অস্টম আসরের। একই মাঠে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৮ জুন। তার আগে কার্ডিফ এবং এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত হবে দু’টি সেমিফাইনাল।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’র এ আসরে মোট ১৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। খেলাগুলো হবে তিন ভেন্যুতে। লন্ডনের ওভাল, বার্মিংহামের এজবাস্টন এবং কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনসে অনুষ্ঠিত হবে। পাঠকদের জন্য ভেন্যুগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হল।
ওভাল:
শহর: লন্ডন, ধারণ ক্ষমতা ২৪,৫০০
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত স্টেডিয়ামটি ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব সারের হোম গ্রাউন্ড। এ মাঠেই ইংল্যান্ডের মাটিতে ১৮৮০ সালে প্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ১৮০০ দশকের শেষ দিকে ওভালের এ মাঠে এফএ কাফ (ফুটবল) ফাইনালের ১৯টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ইংল্যান্ডের কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ও রাগবি ম্যাচও আয়োজন করা হয় এখানে।
এটি লন্ডনের বড় মাঠগুলোর একটি এবং ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচও এখানে অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৪ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ মাঠে।
এজবাস্টন:
শহর: বার্মিংহাম, ধারণ ক্ষমতা ২৫০০০
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
১৮৯৪ সাল থেকে এটি ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব ওয়ারউইকশায়ারের নিজস্ব মাঠ এবং ইংল্যান্ডের সেরা মাঠগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত। ইংল্যান্ড দলের সাবেক অনেক অধিনায়কদের দৃষ্টিতে এখানকার পারিপার্শ্বিক অবস্থা সফরকারী দলগুলোর জন্য প্রতিকূল। তবে এ মাঠে ভারতের সুখ-স্মৃতি আছে। বৃষ্টি বিঘিœত ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৫ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত।
সোফিয়া গার্ডেন্স:
শহর : কার্ডিফ, ধারণ ক্ষমতা ১৫,৬৪৩
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব গ্লামোরগানের নিজস্ব মাঠ। নিজস্ব ঘাটি হিসেবে ১৯৯৫ সালে ১২৫ বছরের ইজারা নেয় গ্লামোরগান। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ভেন্যু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। ২০০৯ সালের এ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল এ মাঠে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই
আপনার মতামত লিখুন :