• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যৌনসঙ্গমে আগ্রহ হারাচ্ছে জাপানের তরুণ প্রজন্ম


ফিচার ডেস্ক জুলাই ৬, ২০১৭, ১২:১৬ পিএম
যৌনসঙ্গমে আগ্রহ হারাচ্ছে জাপানের তরুণ প্রজন্ম

ঢাকা: জাপানের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যৌনসঙ্গমের আগ্রহ দিনদিন কমে যাচ্ছে। যার ভয়াবহতা আগামী তিন দশকের মধ্যেই প্রকাশ পাবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এর মধ্যে কিছুটা প্রভাব পড়েছে সন্তান জন্মদান হ্রাসের মাধ্যমে। দেশটির সরকারী হিসেবে এখন মোট জনসংখ্যার মধ্যে পৌঢ়দের হার বেশি। আর সন্তান জন্মদান হ্রাস পাচ্ছে ফলে জনসংখ্যা কিছুদিন পর অনেক কমে যেতে পারে।

দীর্ঘ দিন ধরেই এ বিষয়ে গবেষণা চলছে। বিবিসির টোকিও প্রতিনিধি রুপার্ট উইংফ্লিড হায়েস দেশটির তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যৌন আগ্রহের কারণ অনুসন্ধানে সরজমিনে এক প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। সেখানে তিনি দেশটির কয়েকজন কমেডিয়ান, অভিনেত্রী ও চাকরিজীবীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। যাতে উঠে এসেছে এই ভয়বহতার পেছনের কারণ।

কমেডিয়ান অ্যানো মাসটুসি

২৬ বছর বয়সী দেশটির কমেডিয়ান অ্যানো মাসটুসি জানান, আমি যৌনতার ব্যাপরে নিজের প্রতি যে আত্মবিশ্বাস তা হরিয়ে ফেলেছি। কারণ, আমি কখনোই মেয়েদের কাছে জনপ্রিয় ছিলাম না। একবার আমি এক মেয়ের কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমার প্রতি কি তোমার আগ্রহ নেই? সে বলেছিল না। যা আমাকে মানসিকভাবে আঘাত করেছিল।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটিতে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সি ৪৩ শতাংশ তরুণ তরুণীদের মধ্যে যৌন আগ্রহ নেই। আর ৬৪ শতাংশ যাদের পারিবারিক সম্পর্ক নেই এমনকি তাদের মধ্যে কোনো বিয়ের আগ্রহও নেই।

কেন মেয়েরা আপনাকে ভালোবাসতে চায় না বা আপনার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়তে চায় না এমন প্রশ্নের জবাবে মাসটুসি বলেন, অনেক মানুষই আমাকে পছন্দ করে। কিন্তু মেয়েরা আমাকে মনে হয় তাদের জন্য ক্ষতিকারক মনে করে। এর পর থেকে আমিও তাদের প্রতি আগ্রহ কমিয়েছি। এখন আমি অ্যানিমেশনের প্রতি সময় দিয়ে থাকি।
 এখন আমার নিজের প্রতি ঘৃনা জন্মেছে। ভাবছি কখনো মেয়েদের সঙ্গে সেক্স করবো না।

অভিনেত্রী রোকুডেনাশহিকো 

রোকুডেনাশহিকো, ৪৫ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী বলেন, আমি আমার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করি। ও আমার জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অবস্থা এমন যে আমার সম্পর্ককে অনেকেই আশ্চার্যজনক মনে করে। আমাদের দেশে কারো সঙ্গে সম্পর্ক করা খুবই কঠিন। এজন্য বিরক্ত হলে চলবে না চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ।

সমাজে তরুণদের মধ্যে যৌন আগ্রহ কমে যাওয়ার কারণ অতিরিক্ত পর্ন মুভির প্রতি আসক্তি ও পরিবার প্রথা বিলুপ্তি বলে মনে করছেন এই অভিনেত্রী। 

এ্যানা (২৪) নামের এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, খাওয়া ও ঘুমানো মধ্য দিয়েই যৌনতাকে জয় করি। তবে মাঝে মাঝে নিজেই সেক্স করি তবে এটা আমার জন্য খুব বেশি প্রয়োজনীয় মনে হয় না।

ব্যাংকার এ্যানো

যখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া শুরু করলাম তখন আমার বাবা-মা আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন। তখন অর্থেরও অভাব ছিলনা। কিছু দিনের মধ্যেই বন্ধুদের সঙ্গে মদের বারে যাওয়া শুরু করলাম। এর পর আর কি... আর বয়ফ্রেন্ড? না একজন ছেলে আমার এসব স্বাধীনতা দিবে না, আমার চলাফেরা সবকিছু সংকোচিত করে দেবে সেটা আমার পছন্দ নয়।

ওই প্রতিবেদনের শেষে বলা হয়, অতিরিক্ত পর্নগ্রাফি, যান্ত্রিক জীবন ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া বা একাধিকবার প্রতারণার শিকার হয়ার ফলে সঙ্গি গ্রহণের আগ্রহ হারাচ্ছেন জাপানের তরুণ প্রজন্ম।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!