• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
বিএনপির ঘাঁটি

রিজভীর শোকজে হতভম্ব চাঁন


জেলা প্রতিনিধি জুন ২, ২০১৭, ০৯:৩৮ পিএম
রিজভীর শোকজে হতভম্ব চাঁন

বগুড়া: দলের প্রতিষ্ঠাতার শাহাদৎ বার্ষিকীর কর্মসূচিতে অনুপস্থিত আর আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার অভিযোগ তুলে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁনকে। নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতেও বলা হয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষর করা ওই নোটিশ পাঠানো হয়েছে শুক্রবার (২ জুন)। নোটিশটি হাতে পাওয়ার পর যার পরনাই হতভম্ব ও বিস্মিত হয়ে গেছেন বগুড়া বিএনপির উদার ও ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত জয়নাল আবেদিন চান।

রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষর করা ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘দলের দায়িত্বশীল পদে থেকেও গত ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৩৬তম শাহাদৎ বার্ষিকীর কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থেকে আওয়ামী লীগের একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। আপনার বিরুদ্ধে সুষ্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা দলীয় শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ড হিসেবে গণ্য। আপনার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার কারণ দর্শিয়ে দলের মহাসচিব বরাবর একটি লিখিত জবাব এই পত্র প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তরে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

এমন নোটিশ পাওয়ার পর বিস্ময়ে হতবাক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্ম জেলা বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন। তার হতভম্ব হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘৩০ তারিখের কর্মসুচিতে আমি যে ছিলাম তা স্থানীয় ও জাতীয় সব পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে ব্যপকভাবে প্রচার হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে আমাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টাও করা হয়েছিল। তাই বুঝতে পারছি না কেন্দ্রীয় নেতাদের চোখে সেটা কেন পড়লো না?’

জেলা বিএনপির এই সম্পাদক আরো বলেন, ‘পাশাপাশি ওই দিন আমার জানামতে আওয়ামী লীগও বগুড়ায় এমন কোনো কর্মসূচি পালন করেনি যেখানে আমি যেতে পারি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ কী এতটাই উদার যে বিএনপির সাধারণ সম্পাদকে তাদের দলীয় অনুষ্ঠানে দাওয়াত করবে?’

জেলা সভাপতির প্রতি ঈঙ্গিত করে জয়নাল আবেদিন চাঁন বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে দলের সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করেন। দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ২৫/৫০টি করে মামলা থাকলেও তার বিরুদ্ধে লোক দেখানো মাত্র একটি মামলা রয়েছে।’ বিএনপির এই জেলা সম্পাদক অভিযোগ করেন, ‘সভাপতি ভুল তথ্য দিয়ে কেন্দ্রকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করে দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। সভাপতির বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত বলেও তিনি মনে করেন।

এ ব্যাপারে জেলা সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের মতামত জানতে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতার অভিমত, দলের জেলা সভাপতির একক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় দলে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে। বগুড়ার বিষয়টি কেন্দ্রকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে না দেখলে বড় ধরণের ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

সোনালীনিউজ/এন

Wordbridge School
Link copied!