‌‌নির্বাচন নিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা হয়নি‌

ঢাকা : ভারত সফরের সময় আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেননি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি করেন।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া কাদের সাংবাদিকদের বলেন, একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। নির্বাচন নিয়ে মোদি কোনো কথা বলেননি।

আওয়ামী লীগের ভাগ্য জনগণ নির্ধারণ করবে উলে­খ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন হবে, অনেক দলই নির্বাচনে অংশ নেবে। ভারত কি আমাদের ক্ষমতায় বসাবে? তারা কি কখনো ক্ষমতায় বসিয়েছে? ২০০১ সালে আমরা হেরে গেছি। ভারত কি আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে? আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ, কোনো বিদেশি শক্তি নয়। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত সরকারের কাছে গুরুত্ব পেয়েছে সফরে যাওয়া আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল। শুধু ক্ষমতাসীন দলের নেতা নয়, ডিনার পার্টিতে ভারতের অনেকে বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। তিনি বলেন, ভারত সরকার আমাদের অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। প্রায় বত্রিশ মিনিট তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি কথা বলেছেন, আমাদের কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছেন।

আমরা দেশের জন্য জনগণের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছি। এই সফরে শিক্ষা থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা ইস্যু, কোনো কিছুই বাদ পড়েনি। আমরা জানিয়েছি, তিস্তা চুক্তি হলে জনগণের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে।

তারেক রহমানের পাসপোর্ট সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির একেক নেতা একেক কথা বলছেন। খাদের কিনারে এসে লাফালাফি করছেন। এখন বলছেন, তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। এতদিন স্বীকার করেননি। বিএনপিকে আগে বলেছি প্যাথোলজিক্যাল লায়ার, এখন বলছি পূর্ণ মিথ্যাবাদী।  
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ফখরুল কি চিকিৎসক? চিকিৎসকরা বলুক কীভাবে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। সরকার অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রচারণার বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, যে এলাকার নির্বাচন, সে এলাকার যারা ঢাকায় রয়েছেন, কেবল তারাই নির্বাচনী এলাকায় যাবেন। অযথা ভিড় বাড়িয়ে লাভ নেই। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণকে বিরক্ত করবেন না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মহিবুল হাসান চৌধুরী, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ফরিদুন্নাহার লাইলী, অসীম কুমার উকিল, দেলোয়ার হোসেন, বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমটিআই