ঢাকা: রাজধানীর একটি হাসপাতালের কর্মচারীদের মারপিটে মোহাম্মদ আনিসুল করিম নামে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের (এএসপি) মৃত্যুর ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় শ্যামলীতে উপ-পুলিশ কমিশনারের (তেজগাঁও বিভাগ) কার্যালয়ে এএসপি আনিসুল করিমের মৃত্যু নিয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সংবাদ সম্মেলন করবেন।
রাজধানীর আদাবর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশনস) মো. ফারুক মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, সিনিয়র এএসপি শিপন সর্বশেষ ট্রাফিকের সিনিয়র এসি (সহকারী কমিশনার) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মানসিক সমস্যার জন্য সোমবার দুপুর পৌনে ১২টায় মাইন্ড এইড হাসপাতালে আসেন আনিসুল করিম। এক পর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। তাৎক্ষণিক তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে যাওয়া হয়। তবে সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে মাইন্ড এইড হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট রুমে সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপনকে মারধরের একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ইন্সপেক্টর মো. ফারুক মোল্লা বলেন, হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে দেখেছি তার হাত চেপে রাখা হয়েছিল। ঘটনার তদন্তে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬-৭ জনকে থানায় এনেছি। নিহতের মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করা হবে। জড়িত সবাইকে মামলার আসামি করা হবে।
সোনালীনিউজ/এমএইচ







































