• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রীর মুক্তি, বছর জুড়েই হতাশা আর অস্বস্তি


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২৭, ২০২০, ০৩:৪৬ পিএম
নেত্রীর মুক্তি, বছর জুড়েই হতাশা আর অস্বস্তি

ঢাকা : রাজনীতি খরার বছর বলা যায় ২০২০ সালকে। মাঠে বিরোধী দল হিসেবে রাজপথে থাকাটা এমনিতেই ছিলো চ্যালেঞ্জিং। তার মধ্যে করোনার থাবা বিএনপিকে আরও ঘরমুখো করে দিয়েছে; তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

এমনকি বছরের শেষ মুহূর্তে এসেও দলের ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে শোকজ করায় বেশ সমালোচনা সইতে হয়েছে বিএনপিকে। সবকিছু মিলিয়ে জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দলটির বছর কেটেছে অস্বস্তি আর না পাওয়ার হতাশায়।

তবে এই অস্বস্তির মধ্যেও শর্তসাপেক্ষে দলের চেয়ারপারসনের কারামুক্তিতে কিছুটা হলেও ভারমুক্ত নেতা-কর্মীরা।

বছরের শুরু থেকেই দলীয় চেয়ারপারসনকে কারামুক্ত করতে আইনী প্রক্রিয়ায় বেশ সরব ভূমিকা রেখেছে বিএনপি। পাশাপাশি আন্দোলনের হাক-ডাকও ছিলো উল্লেখ করার মতো। তবে তার কোনোটিই শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি বা সফল হয়নি।  

এরমধ্যে রাজনীতির মাঠে উত্তেজনা শুরু হয় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে। একদিকে কয়েকবার নির্বাচন করে অভিজ্ঞতা অর্জন করা তাবিথ আউয়াল অন্যদিকে শেখ পরিবারের সদস্য ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে নতুন মুখ সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন বেশ আলোড়ন তুলেছিলেন।

যদিও সে নির্বাচনে হেরে যান বিএনপির দুই প্রার্থীই এবং তামাশার নির্বাচন উল্লেখ করে দীর্ঘ চার বছর পর রাজধানীতে হরতালের ডাক দেয় দলটি। সাধারণ মানুষ হরতালকে সমর্থন না দিলেও আন্দোলন সংগ্রামের পথে থাকাটাই উত্তম পথ হিসেবে বেছে নেয় বিএনপি।

তীব্র আন্দোলন ছাড়া বারবার জামিন বাতিল হওয়া দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তি সম্ভব নয় বলে বক্তব্য-বিবৃতি দিতে থাকেন মির্জা ফখরুল সহ সিনিয়র নেতারা। তাদের বিশ্বাস ছিলো জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন। তবে সেই আন্দোলন আর ধানা বাধতে পারেনি। ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর স্তব্ধ হয়ে যায় সবকিছু। শর্ত সাপেক্ষে ২৪ মার্চ মুক্তি পান বেগম জিয়া। তিনি ঢাকায় নিজের বাসায় থাকবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না এই দুই শর্তে তাকে মুক্তি দেয় সরকার।

আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে বলেছেন, আন্দোলন বা বিএনপির কোনো কৃতিত্ব ছাড়াই সরকার সদয় হয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছে। তারা বলছেন, তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্যে সরকার এই সময়টাকে সুবিধাজনক বলে মনে করেছে।

অন্যদিকে রাজনৈতিক চাপ ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের অনেকে অবাক হয়েছেন। আওয়ামী লীগের অনেক নেতার কাছেও এটি আকস্মিক বিষয় ছিল।তবে এর আগের কয়েকদিনের কিছু ঘটনার যোগসূত্র মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন অনেকে।

মুক্তির তিনদিন আগে খালেদা জিয়ার ভাই এবং বোনসহ পরিবারের তিনজন সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছিলেন।পরদিনই বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা সংবাদ সম্মেলন করে এখন করোনাভাইরাসের দুর্যোগ পরিস্থিতিতে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় তার মুক্তি চেয়েছিলেন। এর একদিন পরই সরকারের পক্ষ থেকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়।

কারাগার থেকে বের হওয়ার পর খালেদা জিয়া অনেকটাই নিভৃতে রয়েছেন।কোনো বক্তব্য, বিবৃতি, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আসেনি তার পক্ষ থেকে। এমনকি স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের মতো দিনগুলোতেও তিনি নীরব। জনগণকে শুভেচ্ছা জানাননি তিনি। বিএনপি এই মুক্তি নিয়ে এতটাই অস্বস্তিতে যে, নেত্রীর মুক্তিতে দলের ভূমিকা অস্বীকার করা হচ্ছে। বিএনপি বারবার বলছে, পারিবারিক আবেদনের সঙ্গে দলের সম্পৃক্ততা নেই।

এরপর রাজনীতি হয়েছে মুলত করোনাকে পুঁজি করে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে অনলাইনে বক্তব্য-বিবৃতি দিতে থাকেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ প্রায় সর্বস্তরের নেতারা। তাদের কথায়, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভঙ্গুর অবস্থা ফুটে উঠেছে এবং সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে।

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাল্টা অভিযোগ ছিলো-করোনাভাইরাস সংকট নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করার উদ্দেশ্যে সরকারের বিরুদ্ধে অন্ধ সমালোচনা করছে।

এরইমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে বিএনপির প্রায় ৭৩ নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন দলটির আরও প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী।করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয় বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম, সাংগঠনিক গঠন ও পুনর্গঠন কাজ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম ও সাংগঠনিক গঠন ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি এখনো বিরাজমান।

বাস্তবতার নিরিখে দলীয় কার্যক্রমের অগ্রগতির জন্য সাংগঠনিক কার্যক্রম, সাংগঠনিক গঠন ও পুনর্গঠন আবার চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। দেশব্যাপী দলের নেতাকর্মীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

তবে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই হঠাৎ করে অস্বস্তি বেড়ে যায় বিএনপিতে।মাথাচাড়া দিয়ে উঠে অভ্যন্তরীণ কোন্দল।বাড়তে থাকে বিভক্তি।স্থানীয় সরকার ও উপনির্বাচন এবং তৃণমূল পুনর্গঠনকে কেন্দ্র করে অনেক স্থানে বিরোধ চলে আসে প্রকাশ্যে।ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনাও।

একদিকে হামলা-মামলা অন্যদিকে নেতৃত্বের বিরোধ সংগঠনকে শক্তিশালী করার পেছনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে অনেক নেতাকর্মী দলীয় রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ইন্ধন থাকায় হাইকমান্ড চাইলেও সহজে এ দ্বন্দ্ব নিরসন করতে পারছিলেন না।

এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপিতে কোনো কোন্দল নেই। এত বড় দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা অনেক বেশি।

পাশাপাশি তিনি এও বলেন  যে, সরকারের সমস্ত অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন সহ্য করে বিএনপিকে টিকে থাকতে হচ্ছে। বিএনপির প্রায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে লক্ষাধিক মামলার কথাটিও উল্লেখ করেন তিনি।

এর পরপরই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বাসায় দলীয় নেতা কর্মীদের ডিম ও পাথর ছুড়ে মারার ঘটনায় হতবাক হয়েছে দলটির সবস্তরের নেতা-কর্মীরা।সে ঘটনায় বহিস্কার করা হয় স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ১৭ নেতাকর্মীকে।

একদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের বহিস্কার অন্যদিকে ফখরুলের বাসায় হামলার ঘটনায় সরকারকে দায়ী করে ক্ষোভ ও নিন্দা জানাতে থাকেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

দলীয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উত্তরাস্থ বাসভবনে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল বহিরাগত ব্যক্তি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাসার ক্ষতিসাধন করেছে। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

ঘটনার পেছনে সরকারি মদদ রয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, বর্তমানে সারাদেশে গুম, খুন, নারী ও শিশু নির্যাতনের যে মহামারি চলছে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতেই সরকারের এজেন্টরা এ হামলা চালিয়েছে।

এরপর নভেম্বরে ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলার মধ্যেই রাজধানীর আটটি স্থানে বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। শাহবাগ, মতিঝিল, গুলিস্তান, শাহজাহানপুর, সচিবালয়ের পেছনে, নয়াবাজার, কারওয়ানবাজার ও ভাটারা প্রগতি সরণীতে বাসে আগুন লাগানো হয়।

কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও এর দ্বায় চাপে বিএনপির ঘাড়ে।

বাসে আগুন লাগানোর ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান,ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ছাত্রদল একটি মিছিল করে। ওই মিছিলের পরই গোলাপ শাহ মাজার এলাকার একটি বাসে আগুন লাগে।

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ছাত্রদলের একটি মিছিল প্রেস ক্লাব অতিক্রম করছিল। মিছিল থেকে উপনির্বাচনে ভোট কারচুপির প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দেওয়া হয়। ওই মিছিল প্রেস ক্লাব এলাকা অতিক্রম করার পরপরই সচিবালয়ের পেছনের রাস্তায় একটি বাসে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

গোলাপ শাহ মাজারে যে বাসটি পুড়েছে, ঘটনাস্থলটি পল্টন থানার অধীনে। এই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিকী বলেন,ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি মিছিল ওই এলাকা অতিক্রম করার পরই বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বলে জেনেছি।

ওই মিছিল থেকে ‘আগুন জ্বালাও’, পোড়াও’ স্লোগানও দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ।

এ ঘটনায় ডিএমপির ১২টি থানায় ১৬টি মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় অন্তত ৪৭ জনকে।যাদের অধিকাংশই বিএনপির কর্মী বা সমর্থক।

আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক বলেন,বিএনপি আবার ফিরে গেছে জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতিতে। অপরাজনীতির জন্য জনগণ তাদের আন্দোলনে সাড়া না দেওয়ায় তারা আবার আগুন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।

বছরের শেষ মাসে এসে নির্বাচনী রাজনীতিতে ফিরে যাওয়ার প্রত্যয় দেখা যায় বিএনপির মাঝে। তৃতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য দেশের ৬৪টি পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জন্য মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করে দলটি।

২৭ ডিসেম্বর বিকাল ৫টার পর কোনো আবেদন ফরম বিক্রি এবং জমা নেয়া হবে না। ২৯ ডিসেম্বর চূড়ান্ত দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা ও প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হবে।
তবে এর মধ্যেই দলের শীর্ষ দুই নেতাকে শোকজ করায় নতুন বির্তক শুরু হয় বিএনপিতে।

দলটির দুই ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকা।

দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব তুলনামুলক জুনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত নোটিশে সমালোচনা শুরু হয় দলে এবং দলের বাইরে।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা না করেই শোকজে বিস্মিত হয়েছেন দলের নেতারা। পাশাপাশি শোকজে ব্যবহৃত ভাষা নিয়েও তাদের আপত্তি। তবে শোকজের জবাব মেজর হাফিজ এবং শওকত মাহমুদ যেভাবে দিয়েছেন তাতে তারা সন্তুষ্ট।

বিষয়টি নিয়ে দলের বাইরেও হয়েছে সমালোচনা। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং একজন খেতাবধারী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সত্য বলার অপরাধে শোকজ করা দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর।

বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক। যাদের দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা নেই, তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে পারবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে না। নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন এবং তাদের নেতৃত্ব বহুধাবিভক্ত।

সব শেষে ওবায়দুল কাদেরর কথা ধরেই বিএনপি ‘মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক’ তার একটি উদাহরণ না দিলেই নয়। ২০২০ সালের শুরুতে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। তাকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়।সে নোটিশে স্বাক্ষর করেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

নোটিশের কারণ হিসেবে জানা যায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পৌর শহরের দরগাপট্টি ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে নাটোরে একটি পিকনিকের আয়োজন করা হয়। সেই পিকনিকে ওই এলাকার সব রাজনৈতিক নেতাকে দাওয়াত দেন আয়োজকরা।

স্থানীয় মহল্লাবাসী হিসেবে দলমত-নির্বিশেষে সবাই এই পিকনিকে অংশ নেয়। বিএনপি নেতা সাইদুর রহমানও সেখানে ছিলেন এবং আওয়ামী লীগেরও কিছু নেতা ছিলেন। কেবল আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে পিকনিকে অংশ নিয়েছেন বলেই তাকে শোকজ করা হয়।

বিষয়টি তখন রাজনৈতিক মহলে খুব বেশি আলোড়ন না ফেললেও গণতান্ত্রিক সমাজের নাগরিক হিসেবে যে কারোরই সংঙ্কিত হওয়ার কথা বটে!

সোনালীনিউজ/আইএ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!