• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি, ভাঙন অব্যাহত


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জুন ১৫, ২০২১, ০৩:৩৩ পিএম
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি, ভাঙন অব্যাহত

প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম: ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধিতে ভাঙন তীব্রতর আকার ধারন করেছে। ইতোমধ্যে রৌমারী উপজেলার ঘুঘুমার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘুঘুমারী কমিউনিটি ক্লিনিক ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে বিলীন হয়েছে। 

তীব্র ভাঙনের কবলে পড়েছে উপজেলার চরশৌলামারী ইউনিয়নের ঘুঘুমারী, সুখেরবাতী, চরঘুঘুমারী, খেরুয়ারচর, খেদাইমারী, চর খেদাইমারী, সাহেবের আলগা, বলদমারা, বাইশ পাড়া, সোনাপুর গ্রাম।

ব্রহ্মপুত্র নদের পানির  তীব্র ¯রাতে নদের তীরবর্তী এসব গ্রামের হাজার হাজার মানুষ আতঙ্কে জীবন যাপন করছে। এসব মানুষ ভাঙনের কারনে বসতভিটা ও ফসলি জমি ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্যের জমিতে খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টানিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। 

এখানে বর্ষার শুরুতেই ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন জরুরী ভিত্তিতে বন্ধ করতে না পারলে বিলীন হয়ে যাবে বামতীর রক্ষাবাঁধের আংশিক কাজ ও ঘরবাড়ি ফসলি জমি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সরকারের কোটি কোটি টাকা জলে যাবে। 

এখানে ব্রহ্মপুত্র নদের বামতীর রক্ষাবাঁধ ৭.৩ কি:মি বিপরীতে ৪৭৯ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৫ টি প্যাকেজের কাজ শুরু হলেও এসব কাজ ভাঙনমুখে পড়তে যাচ্ছে এমন আশঙ্কা স্থানীয়দের। 

ঘুঘুমারী গ্রামের স্থানীয় এলাকাবাসি মিয়াউল্লাহ জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের ফলে আমার বাড়িঘর ফসলি জমি ভেঙে গেছে। সরকারের কাছে আকুল আবেদন দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিন। না হলে আমরা ব্রহ্মপুত্র তীরের কয়েকটি গ্রামবাসী নিঃস্ব হয়ে যাবো।

শফিউল ইসলাম জানান, রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র তীবর্তী এলাকায ভাঙন রোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এখানাকার কযেকটি গ্রাম নদ গর্ভেবিলীন হবে। হাজার হাজার গ্রামবাসী নিঃস্ব ও পথের ভিকারী হবে। গৃহবধূ মজিনা বেগম জানান, আমাদের ঘুঘুমারী গ্রাম প্রায় নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। আমরা ত্রাণ চাইনা ভাঙ্গন বন্ধ চাই। বর্ষার শুরুতেই ব্রহ্মপুত্র নদের পানি প্রখর রাতে বইছে। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন বন্ধ করার ব্যবস্থা চাই।

স্থানীয় সোহরাব আলী জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন রোধের ব্যস্থা করতে না পারলে বিলীন হয়ে যাবে বামতীর রক্ষাবাঁধ ও ঘরবাড়ি ফসলি জমি। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা জলে যাবে। উন্নয়ন ব্যাহত হবে। 

স্থানীয় চর শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম সাইদুর রহমান দুলাল জানান, ব্রহ্মপুত্রের  ভাঙনের ফলে কয়েকটি গ্রাম বিলীন হওয়ার পথে। ইতোমধ্যে ঘুঘুমারী খেদাইমারী সোনাপুরসহ কয়েকটি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। শত শত মানুষ ঘরবাড়ি,ফসলি জমি হারিয়ে অন্যের জমিতে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ভাঙন কবলিত মানুষের জন্য সাধ্যমতো সহযোগীতা করার চেষ্টা করছেন। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান এই ইউপি চেয়ারম্যান।
রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্ল্যাহ্ জানান, আমি নদী ভাঙন এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি বিষয়টি খবুই ভয়াবহ অবস্থা। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আরো কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। 

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙনের বিষয়টি জেনেছি। রৌমারী উপজেলার ঘুঘুমারী পয়েন্টে ভাঙন রোধে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে সাহেবের আলগা পয়েন্টে ভাঙন রোধে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/ওএ/এসআই

Wordbridge School
Link copied!