• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লায় ঝরে গেল ৫৭ হাজার ১৫৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী


কুমিল্লা প্রতিনিধি এপ্রিল ২৯, ২০২৩, ১১:৩৭ এএম
কুমিল্লায় ঝরে গেল ৫৭ হাজার ১৫৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী

কুমিল্লা: সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আগামী ৩০ শে এপ্রিল শুরু হতে চলেছে এসএসসি পরীক্ষা। বোর্ডের ৬ জেলায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩১ হাজার ২৩২ জন, এর মধ্যে পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৯ জন। রেজিস্ট্রেশন করলেও ফরম পূরণ না করায় বাদ পড়েছে ৫৭ হাজার ১৫৩ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৩২ হাজারেরও বেশি।

বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও স্কুল প্রধানরা সোনালীনিউজকে বলেন, মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার মূল কারণ বাল্য বিবাহ, আর ছেলেরা ঝুঁকছে অর্থ উপার্জনে। আর প্রত্যন্ত এলাকায় এই ঝরে পড়ার হার বেশি।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানায়, আগামী রোববার (৩০ শে এপ্রিল) সারাদেশে একযোগে শুরু হবে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষা। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুর জেলার ২ লাখ ২০ হাজার ২৮৮ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছে। কিন্তু ফরম পূরণ করেছে ২ লাখ ৩১ হাজার ২৩২ জন। রেজিস্ট্রেশন করেও ৫৭ হাজার ১৫৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৩২ হাজারের অধিক। ঝরে পড়াদের হার ২৩ দশমিক ৮:শতাংশ ছাত্রী এবং ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ ছাত্র। 

আবার শহরের চেয়ে গ্রামের শিক্ষার্থীরা বেশি ঝরে পড়েছে। রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় এবার অংশগ্রহণ করছেনা অধিকাংশ পরীক্ষার্থী।

পরিসংখ্যান বলছে, ছেলে শিক্ষার্থীদের চেয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার সংখ্যা বেশি। এদিকে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে ২০ হাজার, যদিও বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে- অনিয়মিত পরীক্ষার্থী না থাকায় কমে এসেছে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।

কিছু অভিবাক সোনালীনিউজকে বলেন,পরীক্ষার সময় দেখা যাবে অনেক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকবে। কারন এখন এলাকায়-এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িয়েছে অধিকাংশই নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের অনেকে এখন জেলে রয়েছে। পাশাপাশি অনেক মেয়ে শিক্ষার্থী প্রেম সংঘটিত কারনে আত্মহত্যাও করেছে। তাই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশী হবে না।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. আসাদুজ্জামান সোনালীনিউজকে জানান, পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ না করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবাই শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়েছে এমন নয়, এর মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীও রয়েছে। এছাড়া শুধু বাল্যবিয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ছে বিষয়টা সরাসরি এমন নয়। তবে বিদেশ চলে যাওয়ার একটা প্রবণতা, কিংবা দেশের মধ্যেই চাকরির খোঁজ করার আগ্রহ তৈরি হওয়ায় এমন হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারির পর যে বিষয়টি লক্ষণীয় অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেক শিক্ষার্থীকেই দেখা যাচ্ছে অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদ দিয়ে কোনো না কোনো চাকরি খুঁজছেন। যে কারণে অনেকে রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় বসছে না। আর মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার মূল কারণ বাল্য বিবাহ।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর জামাল নাসের সোনালীনিউজকে বলেন, নবম শ্রেনীতে কিছু ছাত্র-ছাত্রী অকৃতকার্য হওয়ার কারনে তারা ফরম ফিলাপ করতে পারেনি।আবার কোভিট মহামারির কারনে অনেক ছোট-ছোট ছেলে শিক্ষার্থী জীবিকার তাগিদে অটো মিশুক চালাচ্ছে।আর বাল্যবিবাহ হওয়ার কারনে অনেক মেয়ে শিক্ষার্থীও ঝড়ে পড়েছ।

সোনালীনিউজ/এসএন/এসআই

Wordbridge School
Link copied!