গাইবান্ধা : কয়েক বছর আগেও জেলার চরাঞ্চল সহ গ্রামাঞ্চলের কৃষিজীবী মানুষ গরুর পাশাপাশি মহিষ পালনেও বেশ তৎপর ছিলেন। সময়ের বিবর্তনে আর আধুনিকতা ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় গৃহস্থের গোয়ালে এখন আর মহিষ দেখা যায় না। যেখানে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে লালন-পালন করা হতো মহিষ,সেখানে কয়েক গ্রাম ঘুরেও এখন মহিষের দেখা মেলা ভার। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে মহিষ এখন এক বিরল প্রজাতির প্রাণী।
মহিষ দেখতে কালো, ধূসর অথবা বাদামি রঙের হয়। কৃষিকাজে কর্ষণের শক্তি হিসেবে, কাছাকাছি দূরত্বে পণ্য পরিবহনের কাজে এবং মানুষের নিকটবর্তী পথ চলাচলে গাড়ি টানার জন্য, অর্থসাশ্রয়ী ও পরিবেশদূষণমুক্ত শক্তির প্রয়োজনে,খাদ্যবস্তু হিসেবে তুলনামূলকভাবে অধিক ননী-সমৃদ্ধ দুধ আর মোটা আঁশযুক্ত মাংসের উৎস হিসেবে, জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির জন্য জৈব সার হিসেবে হাড় ও গোবরের ব্যবহার, মানুষের ব্যবহার্য শৌখিন সামগ্রী তৈরির জন্য শিং, হাড় ও চামড়ার ব্যবহারের জন্য মহিষের গুরুত্ব আছে।
গরুর তুলনায় মহিষের রোগবালাইও অপেক্ষাকৃত কম। মহিষ গরম সহ্য করতে পারে না, এ কারণে কাদামাটি ও পানিতে গড়াগড়ি করতে পছন্দ করে। আরামের জন্য পানি আর ছায়াযুক্ত জায়গায় থাকতে আরাম বোধ করে। দিনের মধ্যভাগে এবং সূর্যাস্তের কিছুটা আগে মহিষকে বেশ কয়েক ঘণ্টা কাদাপানিতে গড়াগড়ি করে অবস্থান করতে দিতে হয়। মহিষ গড়ে ১৫ বছর বাঁচে এবং সমগ্র জীবন চক্রে প্রায় ১৬ থেকে ১৭টি বাচ্চা প্রদান করে থাকে।
মহিষ অনেক উপকারী প্রাণী হওয়ায় যেনো কালের বিবর্তনে হারিয়ে না যায় এমটাই দাবি সচেতন মহলের।
এমটিআই