বরগুনা: আমতলীতে জমি দখলের জন্য জমিতে রোপনকৃত গাছ কেটে মাটির ইট ভাটায় বিক্রির ঘটনায় আদালতে মামলা করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। মামলার অভিযোগ গ্রহণ করে আমতলী জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক কোর্ট ইন্সপেক্টরকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, আমতলীর চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামে বাড়ির সংলগ্ন বাগানের গাছপালা কেটে এবং জমির মাটি কেটে ইটভারায় বিক্রি করে।
এই ঘটনায় মামলার বাদী বাধা দিতে গেলে দখলকারীরা মারধর করে। বিষয়টি তিনি আমতলী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বন্ধ করে দেয়। উভয়কে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে থাকার জন্য বলা হয়। বিষয়টি আদালত সংশ্লিষ্টতা থাকায় বাদীকে আদালতের মাধ্যমে ফয়সালা করার জন্য বলা হয়।
পরে ক্ষতিগ্রস্ত আবুল হোসেন আদালতে বাদী হয়ে অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ১২ এপ্রিল ভোগদখলীয় জমি দখল নিতে পাশাপাশি গ্রামের শাহ আলম পিতা মৃত. হামেজ উদ্দিন হাওলাদার আল আমিন (২৫) পিতা- আ. রাজ্জাক হাওলাদার শাহজাহান (৫৫) পিতা- আ. রাজ্জাক হাওলাদার মো. বসির হাওলাদার (৪২), পিতা- আনোয়ার হাওলাদার, মো. কামাল হাওলাদার (৫০), পিতা- মৃত. নূর মোহাম্মাদ হাওলাদার, মো. কামাল হাওলাদার (৪৫), পিতা- আ. লতিফ হাওলাদার মো. আ. রাজ্জাক হাওলাদার (৩০), পিতা- মৃত. আনু হাওলাদার, নুর সাহেদ ডাক্তার (৫৮), পিতা- মৃত. হামজি ডাক্তার, প্রিন্সল মিরা (৩০), পিতা- মনির হোসেন মিরা দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের জমিতে প্রবেশ করে দখল নিতে চেষ্টা চালায়।
এর আগেও এমন ঘটনার সৃষ্টি হলে আদালতে দারস্থ হন বাদী। আদালত থেকে আইনজীবী কমিশন গঠন করে জমিতে পিলার স্থাপন করে দেয়। অভিযুক্তরা সেই জমির পিলার উঠিয়ে ফেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার গাছ ও মাটি কাটার মেশিন (ভেকু) দিয়ে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার মাটি কেটে নিয়ে ইট ভাটায় বিক্রি করে দেয়।
এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মো. বশির আলম বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক কার্যক্রম সম্পন্ন করে আদালতে দাখিল করা হবে।
এআর