• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

শেষ মুহূর্তের কেনাবেচায় জমজমাট লক্ষ্মীপুরের পশুর হাট 


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জুন ৫, ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম
শেষ মুহূর্তের কেনাবেচায় জমজমাট লক্ষ্মীপুরের পশুর হাট 

লক্ষ্মীপুর: গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ্মীপুরের কোরবানির পশুর হাট গুলোতে বেচাকেনা কম হলেও ঈদ ঘনিয়ে আসায় কেনাবেচা বাড়ছে। হাটে ক্রেতাও বাড়ছে। এতে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুর হাটগুলো। আগের তুলনায় দাম সহনীয়।

সরেজমিনে গিয়ে জেলার কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর দাম কিছুটা কম। 

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর জেলার ৯৩টি হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে স্থায়ী ১৬টি ও অস্থায়ী ৭৭টি হাট রয়েছে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় শেষ মুহুর্তে জমে উঠছে কোরবানির হাট। প্রতিটি হাটে বিপুল সংখ্যক গরু উঠেছে। তবে বড় গরুর চেয়ে মাঝারি ও ছোট গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। 

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সুত্র জানয়, কোরবানির জন্য জেলায় পশুর চাহিদা ৮৮ হাজার ২১৫টি হলেও এবার লালন-পালন করা হয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ১৭৩টি পশু, যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ৫০ হাজার বেশি। জেলার পাঁচটি উপজেলায় প্রায় ২৭০০ ছোট-বড় খামারে কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। 

বিক্রেতারা জানান, এবার কোরবানির জন্য ভারত, মিয়ানমার ও ভুটান থেকে গরু-মহিষ কম আসছে। ফলে কোরবানির বাজার পুরোপুরি দেশীয় পশুনির্ভর হয়ে উঠছে। এতে দেশীয় খামারিরা লাভবান হবেন। ভবিষ্যতে গরু পালনে খামারিরা আরও উৎসাহিত হবে। লোকসানে পড়তে হবে না। তবে গো-খাদ্যের দাম বেশি থাকায় পশুর দাম কিছুটা বেশি। পাশাপাশি অতিরিক্ত পশু থাকায় প্রত্যাশিত দাম পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। 

ক্রেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার গরু ও খাসির দাম আকারভেদে ১০-১৫ হাজার টাকা কম। এতে অনেকেই তাদের পছন্দের পশুটি কিনতে পারছেন। 

বাজারভেদে গরুর দামে তারতম্য দেখা যাচ্ছে। শহরের হাটের তুলনায় গ্রামের হাটে দাম কিছুটা কম, তাই অনেকেই গ্রামের হাট থেকে গরু কিনে আনছেন। খামার থেকেও সরাসরি কোরবানির পশু কেনা যাচ্ছে। অনেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু এনে নির্মাণাধীন ভবন ও খোলা মাঠে রেখে বিক্রি করছেন। সেখান থেকেও পশু কিনছেন ক্রেতারা। হাটের পাশাপাশি অনলাইনেও গরু, মহিষ ও ছাগল বিক্রি হচ্ছে। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কুমুদ রঞ্জন মিত্র সোনালীনিউজকে জানান, পশুর কোনো ঘাটতি নেই, পর্যাপ্ত পরিমাণ কোরবানির পশু মজুত রয়েছে। প্রতিটি বাজারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা বাজার মনিটর করছেন, যেন সবাই নিরাপদে পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকতার হোসেন সোনালীনিউজকে বলেন, জেলার পাঁচটি উপজেলায় যেসব স্থানে পশুর হাট বসেছে, প্রতিটি হাটে পোশাকে ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। 

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজীব কুমার সরকার সোনালীনিউজকে বলেন, মানুষ যেন ঈদুল আজহা সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারে, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি হাটে জাল টাকার বিস্তার ঠেকাতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কঠোর নজরদারি রয়েছে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বাজার মনিটর করছেন। 

এআর

Wordbridge School
Link copied!