পিরোজপুর: নেছারাবাদে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মো. শাহাদাত হোসেন (৫৬) নামের এক ব্যক্তি অবৈধ করাত কল বসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিচার চেয়ে পিরোজপুর বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মো. জুয়েল মিয়া।
তিনি জানান, বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান থাকলেও অদৃশ্য কারণে কর্ণপাত করছেন না অভিযুক্ত মো. শাহাদাত হোসেন। তিনি উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব এবং একই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও মাহামুদকাঠী গ্রামের বাসিন্দা।
রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে নেছারাবাদ থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে স্ব'মিল কারখানা তৈরি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জুয়েল মিয়ার আপন বড় ভাই জহিরুল ইসলাম জহির অভিযোগ করে বলেন, আমাদের জায়গায় ঘর থেকে ১০ ফুট দূরত্ব ও সাথেই স্কুল ও মাদ্রাসা রয়েছে। ওখানে জোর করে শাহাদাত হোসেন ও তার ভাইয়েরা স'মিল ঘর তৈরি করছে। আমি বাঁধা দিলেও তারা কর্নপাত করে নাই। পরে আমরা নিরুপায় হয়ে আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা করি। আদালতের নির্দেশক্রমে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দিয়ে গেছে। কিন্তু তারা সেই আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাজ চলমান রেখেছে। পুনরায় আজকে (৬ জুলাই) থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব ও সাবেক মেম্বার মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের দুই পরিবারের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ রয়েছে। ওই জায়গা আমি ওয়ারিশ সূত্রে পেয়েছি। আইন অমান্য করে স্কুল, মাদ্রাসার ও ঘরের পাশে স্ব'মিল তৈরি করার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
নেছারাবাদ উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও বিঘ্ন সৃষ্টি করে এরূপ কোনো স্থানের ন্যূনতম ২০০ (দুইশত) মিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু এ নিয়ম অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. কাজী কামাল বলেন, বিষয়টি জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মামলা মোকদ্দমা পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে ব্যক্তিগত সমস্যার দায় রাজনৈতিকভাবে চাপিয়ে দেয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে দলীয় প্রভাব দেখিয়ে অন্যায় ভাবে কোন কিছু দখল বা অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বনি আমিন বলেন, বিষয়টি পিরোজপুর কোর্টে বিচারাধীন। কাজ বন্ধ রাখতে কোর্ট থেকে নোটিশ করেছে, আমরা বিবাদীকে নোটিশ পৌঁছে দিয়েছি। এখন যদি তারা আইনকে অমান্য করে পুনরায় তারা আদালতের শরণাপন্ন হবে।
এআর